বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তুকিতে যন্ত্রাংশ পাওয়ার জন্য ১৭ আগস্ট থেকে ‘মাটির কথা’ ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে। তবে যন্ত্রাংশ পাওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত রয়েছে। পাওয়ার টিলার বা সোলার পাম্প নিতে আগ্রহী কৃষকদের ১.৫ একর জমি থাকতে হবে। জমির নথি সহ আবেদন করতে হবে। যন্ত্রাংশ কেনার পর ১৫ দিনের মধ্যে নথি কৃষিদপ্তরে জমা করতে হবে। দপ্তরের আধিকারিকরা নথি খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। শক্তিচালিত যন্ত্রের ক্ষেত্রে ৪০-৭৬ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। ছোট এবং বড় যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ আলাদা। ডোমকলের সহ কৃষি অধিকর্তা পুলক দে বলেন, সব ধরনের চাষিরা যাতে আবেদন করতে পারেন, সেজন্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছি। এছাড়া ‘মাটির কথা’ ওয়েবসাইট থেকেও কৃষকরা এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, চাষের কাজে যন্ত্রাংশের ব্যবহারের ফলে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। শ্রমিকও কম দরকার হচ্ছে। একসময় ধানের বীজরোপণ করার ক্ষেত্রে বা কাটার জন্য দিনমজুর পেতে সমস্যা হতো। কিন্তু এখন অত্যাধুনিক মেশিনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ধানের বীজরোপণ করা বা কাটা হচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গেই তা হচ্ছে। রাজ্য সরকার চাষিদের স্বার্থে অনেক আগেই এই প্রকল্প চালু করেছে। যদিও কৃষকদের একাংশের দাবি, তাঁদের অনেকেই আবেদন করেও আগে মেশিন পাননি। নির্দিষ্ট কিছু লোককে তা পাইয়ে দেওয়া হয়।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসায় এবার স্বচ্ছতা রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহানাজ বেগম বলেন, ভর্তুকিতে যন্ত্রাংশ দেওয়া নিয়ে আগে আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। প্রকৃত চাষিরা যাতে এবার মেশিন বা যন্ত্রাংশ পান, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরাও বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে প্রচার করব। অনেক সময় যন্ত্রাংশ কেনার পরও ভর্তুকি পেতে চাষিদের সমস্যা হয়। এবার যাতে সেটা না হয়, তা দেখা হবে।