উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
কান্দি মহকুমার মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণী, দ্বারকা, কুয়ে, ময়ূরাক্ষী, কানা ময়ূরাক্ষী, বাবলা, এঁড়ে নদীগুলি। ওইসকল নদীগুলিতে বর্ষায় দু-কূল বয়ে যায় জল। আর ওই নদীগুলির পাড়ে রয়েছে অসংখ্য গ্রাম। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়া কিংবা শহর থেকে কৃষিজাত সামগ্রী আনার জন্য নৌকা ব্যবহার করা হয়। বর্ষার সময় নৌকাই তাঁদের কাছে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।
কান্দি ব্লকের হিজল এলাকায় এমন প্রায় ১৩টি গ্রাম রয়েছে, যেখানে বর্ষাকালে বাসিন্দাদের নৌকার উপর ভরসা করতে হয়। আহিরীনগর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, বর্ষায় নৌকাই আমাদের ভরসা। নৌকায় করেই খাদ্যসামগ্রী থেকে রোগীদের যাওয়া আসা করতে হয়। কৃষিকাজের জন্য সার, বীজ সবকিছু নৌকায় বহন করতে হয়।
এদিকে এলাকায় এমন অনেক নদীঘাট রয়েছে যেখানে সবসময় মাঝিদের পাওয়া যায় না। কান্দির পুরন্দরপুর, ভরতপুরের শেহালই, খড়গ্রামের পোড়াডাঙা, কোল্লা, চাঁদপুর প্রভৃতি গ্রামগুলির বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অনেক নদীঘাটের মাঝি রয়েছেন যাঁদের গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে রেখে দেন। মাঝিদের কেউ কেউ নগদ টাকা দিলেও বেশিরভাগ বাসিন্দা ফসল উঠলে তা দিয়ে নদীঘাটের পারাপারের মজুরি মেটান। কিন্তু একজন মাঝির পক্ষে দিনরাত কাজ করা সম্ভব নয়। কাজেই তিনি কোনও কারণে ঘাটে না থাকলে বাসিন্দাদের নৌকা টেনে পার হতে হয়। মাঝি না থাকার ঝুঁকি নিয়ে পারাপার চলে। ভরতপুরের শেহালই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকবছর আগে ঘাটে মাঝি না থাকায় কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিজেরা দাঁড় টেনে নদী পার হচ্ছিল। সেইসময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। দুই ছাত্রী দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ ছিল। গতবছর ভরতপুর থানার পল্লিশ্রী গ্রামে নৌকাডুবির ফলে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এখনও কোল্লা, রুহা, চাঁদপুর, সুখদানপুর, কাশীপুর ছত্তরপুর প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায়ই নিজেদের দাঁড় টেনে পারাপার করতে দেখা যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নৌকাডুবির ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। একাধিকবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁদের কিছু করার থাকে না। বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রতিটি নৌকায় লাইফ জ্যাকেট রাখা বাধ্যতামূলক করা হোক। এই ব্যবস্থা চালু হলে, নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানির ঝুঁকি থাকবে না। নিজস্ব চিত্র