উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, মৃত যুবক আমাদের দলের কর্মী ছিলেন। যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। দলীয়ভাবে ঘটনাটি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। পুলিস তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনার যে দলের লোকই যুক্ত থাকুক না কেন, কাউকে বরদাস্ত করা হবে না।
এদিন বিকেলে মৃতের বাড়িতে আসেন তৃণমূলের রাজ্য যুব সহ-সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপির লোকজন তৃণমূলের জামা পরে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই সকল লোকেকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তরা ছাড় পাবে না।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের মাদার ও যুব গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই বিজেপি যুক্ত নয়। হরিণখোলা এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দিন কয়েক আগেই এই এলাকায় হরিণখোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টুর গোষ্ঠীর সঙ্গে তাইবুল আলি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সময় তাইবুল গোষ্ঠীর লোকজনকে মারধর খেয়েছিল। ওই ঘটনার পাল্টা হিসেবেই এদিন সকাল থেকেই বোমাবাজি শুরু হয়। গুলি চালাচালির ঘটনাও ঘটে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিণখোলা-২ পঞ্চায়েতের ঘোলতাজপুর এলাকা। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছের নীচে বসে ছিলেন ইসরাইল। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। তিনি লাল্টু গোষ্ঠীরই লোক বলে এলাকায় পরিচিত। বোমার আঘাতে উভয়পক্ষের পাঁচজন জখম হন। ইসরাইলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। দুপুর দেড়টা নাগাদ লাল্টু গোষ্ঠীর লোকজন দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আরামবাগ-তারকেশ্বর রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধের মুখে পড়েন হুগলি জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) সুরেন্দর সিং। দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে আধ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। তারপর শুরু তল্লাশি। গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার করে। মৃতের দাদা ইসমাইল খান বলেন, আমরা দলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল করছি। তবে আমার ভাই প্রত্যক্ষভাবে কখনও রাজনীতি করেনি। ভাই অন্য রাজ্যে কাজ করত। লকডাউনের জন্য বাড়ি ফিরেছিল। আমার ভাইকে যারা খুন করেছে, তারা বাইরে তৃণমূল করে। কিন্তু, তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। মৃতের স্ত্রী নুরাজশমিনা বেগম বলেন, স্বামীর সঙ্গে এলাকার কারও কোনওরকম শত্রুতা ছিল না। তবুও তাকে খুন করা হল। আমার স্বামীর খুনের বিচার চাই।