উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪আগস্ট জেলার ২৫টি ব্লকের বিডিও এবং পাঁচটি পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারদের ওই টাকা পাঠানো হয়েছে। ব্লক ও পুরসভা থেকে প্রতিটি স্কুলের মিডডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। এক একটি ওভেনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০০টাকা। ২০০র বেশি পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিতে দু’টি করে ওভেন কেনার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গত বছর জেলার কিছু স্কুলে ওভেন কেনার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বেশিরভাগ স্কুল তার বাইরেই ছিল। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, যে সব স্কুলে ওভেন নেই সেখানে দ্রুত কেনার জন্য টাকা পাঠানো হয়েছে।
আগামী ৪৫দিনের মধ্যে ওভেন কেনার ইউসি জমা দিতে বলা হয়েছে। ইউসি জমা করার সময় ভাউচার এবং ওভেনের ছবি পাঠাতে হবে। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পাঠরত কচিকাঁচা থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে মিডডে মিল পরিবেশন করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এরকম ৪৩২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, আপার প্রাইমারি, প্রাইমারি, এসএসকে, এমএসকে, এনসিএলপি স্কিমে শিশুশ্রমিকদের স্কুল, মাদ্রাসা রয়েছে। এলপিজি গ্যাসে মিডডে মিল রান্নার জন্য অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এতদিন ওভেন কেনার জন্য অর্থ মেলেনি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পড়ুয়ার সংখ্যা ১০-এর কম থাকা স্কুলেও ওভেন দেওয়া হয়েছে। যেমন, ময়নার গোড়ামহাল জুনিয়র হাইস্কুলে মাত্র ন’জন, কাঁথি-১ব্লকের জামালপুর প্রাইমারি স্কুলে মাত্র সাতজন এবং জগন্নাথপুর প্রাইমারি স্কুলে মাত্র ন’জন, দেশপ্রাণ ব্লকে ধোবাবেড়িয়া জুনিয়র হাইস্কুল এবং গোপীনাথপুর জুনিয়র হাইস্কুলে মাত্র আটজন করে পড়ুয়া আছে। তাসত্ত্বেও ওইসব স্কুলে একটি করে ওভেন কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, একবছর আগেই স্কুলে জোড়া সিলিন্ডার এলেও ওভেন কেনার টাকা দেওয়া হয়নি। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২৬জুন এনিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। শেষমেশ প্রশাসন ওভেন কেনার টাকা বরাদ্দ করায় আমরা খুশি।
কোন ব্লকে কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ওভেন কেনার জন্য টাকা পাঠানো হয়েছে তার তালিকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন ভগবানপুর-১ ব্লকে ২৪৫টি, ভগবানপুর-২ ব্লকে ২৫০টি, চণ্ডীপুরে ২০৯টি, কাঁথি পুরসভায় ২৮টি, কাঁথি-১ ব্লকে ২২২টি, কাঁথি-৩ ব্লকে ১১৭টি, দেশপ্রাণ ব্লকে ১৬২টি, এগরা-১ ব্লকে ১০৮টি, এগরা-২ ব্লকে ১৬৯টি, এগরা পুরসভায় ২১টি, হলদিয়া ব্লকে ৬১টি, হলদিয়া পুরসভায় ৫০টি, খেজুরি-১ ব্লকে ৬১টি, খেজুরি-২ ব্লকে ১২১টি, কোলাঘাট ব্লকে ২০৭টি, মহিষাদল ব্লকে ১৯টি, ময়না ব্লকে ২৫১টি, নন্দকুমার ব্লকে ১৯৯টি, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ১৪৪টি, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ৭৯টি, পাঁশকুড়া পুরসভায় ২১টি, পাঁশকুড়া-২ ব্লকে ১৯৭টি, পটাশপুর-১ ব্লকে ২৩৫টি, পটাশপুর-২ ব্লকে ২২৭টি, রামনগর-১ ব্লকে ১৮৬টি, রামনগর-২ ব্লকে ২০১টি, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ১৮৩টি, সুতাহাটা ব্লকে ৭৫টি, তমলুক ব্লকে ২৪৩টি এবং তমলুক পুরসভায় ৩৪টি।