বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পার্ক রূপনারায়ণ নদের তীরে বুদ্ধপার্ক ও ধারিন্দার নবোদয় পার্ক। দু’টি পার্ক ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের আগে বিকেল হলেই পার্কগুলিতে কচিকাঁচা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ভিড় জমাতেন। কিন্তু এখন সবই বন্ধ। বাসিন্দারা বলেন, ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত শহরে এই পার্কগুলি ছাড়া কচিকাঁচাদের বিনোদনের আর তেমন কোনও জায়গা নেই। তাই সেগুলি পুরসভার উদ্যোগে সংস্কার করা হোক। পার্কগুলি শ্রীহীন হয়ে থাকায় দেখতেও খারাপ লাগছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এমনিতেই পার্কগুলি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। বড় বড় আগাছা বেরিয়ে গিয়েছে। নিচু এলাকার পার্কগুলিতে এখনও জল জমে রয়েছে। শহরের বেশিরভাগ পার্কে শৌচালয়ের ব্যবস্থাও নেই। এখন প্রশাসনের হাতে অঢেল সময়। ইচ্ছে করলেই পার্কগুলি এখন সংস্কার করা যায়। প্রয়োজনে স্যানিটাইজড করে দু’একটি পার্ক খোলাও যেতে পারে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বুদ্ধপার্কে আগে বোটিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। ঝড়ের পর সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। সেগুলি আগের অবস্থায় আনতে যথেষ্ট সময়ও লাগবে। পুরসভা ইচ্ছে করলেই এখন সেই কাজে হাত দিতে পারে।
তাম্রলিপ্ত পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, উম-পুন ঝড়ে শহরের বিভিন্ন পার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পার্কগুলির পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছি। ইতিমধ্যেই কয়েকটি পার্ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় বহু পার্কে আগাছার জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। সেগুলি পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি পার্কগুলিকে স্যানিটাইজড করে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এবার পার্কে করোনা সচেতনতার জন্য নানা বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। বড়রাও সতর্ক হবেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি পার্কে মুক্তমঞ্চ গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা করা হবে।