বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় নতুন করে আক্রান্ত ২০জনের মধ্যে ১৪জন বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার বাসিন্দা। বাকিরা রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় সেঞ্চুরির পথে রামপুরহাট মহকুমা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৯২। আক্রান্তদের মধ্যে রামপুরহাট-১ ব্লকের দু’জন, ময়ূরেশ্বর-১, নলহাটি-১ এবং মুরারই-১ ও ২ ব্লকে একজন করে রয়েছেন। তার মধ্যে মুরারই-২ ব্লকের আক্রান্তের বয়স ১৬। বাকিরা ২০-৬০এর মধ্যে। সকলেই রেড জোন মুম্বই থেকে বাস ও লরিতে ২৩ ও ২৪মে এলাকায় ফেরেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের তারাপীঠ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে লালারস সংগ্রহ করে ওইদিনই বাড়িতে পাঠিয়ে কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু, অধিকাংশই সেই নিয়ম উপেক্ষা করে এলাকায় ঘোরাফেরা করেছেন বলে অভিযোগ। স্বভাবতই তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আক্রান্ত নাবালকের গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়ে ওই নাবালক বাড়িতে ফেরে। মাঝে মধ্যে তাকে গ্রামে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। এদিনও দুপুরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করে। যদিও ওই নাবালক বলে, বাড়িতে সময় না কাটায় ফাঁকা মাঠে বসে রয়েছি। গ্রামবাসীরা বলেন, নজরদারি কমিটি নামেই। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলে তাঁর দায় কি প্রশাসন নেবে? পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। একইভাবে মুরারই-১ ব্লকের আক্রান্ত বৃদ্ধও এদিন দুপুর পর্যন্ত জানেন না তিনি পজিটিভ। এলাকাবাসী বলেন, শুক্রবার রাতে রিপোর্ট এসেছে। তাহলে এখনও কেন পজিটিভ রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। গোটা গ্রামে আতঙ্ক গ্রাস করেছে।
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে, দু’-চারদিন আগে ভর্তি হওয়া উপসর্গহীন রোগীদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে শয্যা খালি করা হচ্ছে। তাতেই নতুন করে আক্রান্তদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে একটু সময় লাগছে।
যদিও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(২) ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, আক্রান্ত ছ’জনকে রামপুরহাট করোনা হাসপাতালে রাখার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার অধীন আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন রয়েছেন বোলপুর থানা এলাকার। বাকি চারজন সাঁইথিয়া থানা এলাকার। এছাড়া ইলামবাজার, মহম্মদবাজার ও সদাইপুর থানা এলাকায় একজনকে করে রয়েছে। প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা মহারাষ্ট্র থেকে জেলায় ফিরেছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, আক্রান্তরা উপসর্গহীন। বর্তমানে কোভিড হাসপাতালে শয্যার অপ্রতুলতার জন্য তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বা বাড়িতে রাখা হয়েছে। পরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।