শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ে সাগরদিঘির প্রায় ২৫০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গিয়েছে। ট্রান্সফর্মারও বিকল হয়ে পড়েছে। তারফলে বহু গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎ করে আসা ঝড়ে আম এবং লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকার আগেই আম ঝরে পড়েছে। লিচুতে দাগ পড়ে গিয়েছে।
গোবর্ধনডাঙা পঞ্চায়েতের খাটোয়া গ্রামের বাসিন্দা মলয় মণ্ডল, নিলয় মণ্ডল বলেন, হঠাৎ করেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। মুর্হূতের মধ্যে বিকট আওয়াজ করে বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায়। গাছও উপড়ে পড়েছে। দিনে ঝড় হলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারত। উম-পুনে আমাদের এলাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ১৫ মিনিটের ঝড়ে সব তছনছ করে চলে গেল।
সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বেরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষয়ক্ষতির হিসেব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ দল কাজ করছে। আশা করা যায়, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলেরও ক্ষতি হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারালা পঞ্চায়েত এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। তবে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার পর বীরভূমে সামান্য বৃষ্টি হয়। তারপরই কিছু এলাকায় কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড় হয়। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে ওই ঝড়ের তাণ্ডব ছিল ব্যাপক। ফলে বহু কাঁচাবাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। টিনের ছাউনির ঘর ভেঙে গিয়েছে। বহু গাছও ভেঙে গিয়েছে। সিউড়ি থানার বড় আলুন্দা, নন্দপুর, ভাণ্ডিরবন, রায়পুর, লাঙ্গুলিয়া প্রভৃতি গ্রামে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব ছিল। এছাড়া মহম্মদবাজার, রাজনগর, মুরারই-১, ময়ূরেশ্বর-১ প্রভৃতি ব্লকেও ঝড়ের তাণ্ডবে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিউড়ি-১ ব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকার বলেন, কয়েকটি গ্রামে ওই রাতে ঝড়ে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আলুন্দা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামকৃষ্ণ দত্ত বলেন, ওই রাতে আমার নিজের একটি গোয়ালঘরের টিন উপড়ে গিয়েছে। তাছাড়া গ্রামের অনেকের বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ঝড়ে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে। একটি ক্লাবের টিভি ভেঙে গিয়েছে। বিকট শব্দও শোনা যায়। ঝড়ের সময় সবাই বাড়িতে ছিলেন বলে কেউ আহত হননি। আর এক বাসিন্দা দিলীপ কর্মকার বলেন, ওই রাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চালাঘর ভেঙে গিয়েছে। আমরা সেই সময় আতঙ্কিত ছিলাম। অনেকেই উন-পুন এর তাণ্ডবের মতো কিছু হতে চলেছে ভেবে ভয় পেয়ে যান।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়েছিলেন।
উম-পুন ঝড়েও হরিহরপাড়া, জলঙ্গি, ডোমকল, রেজিনগর এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধান, পাট, তিল এবং বহু সব্জি জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের জেলার একটি ব্লকের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ায় আধিকারিকদের চিন্তা বেড়েছে।