শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচনালা সংস্কার, পুকুর খনন, ফলের বাগান প্রকল্পে কাজ না করে টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এক এলাকার কাজ দেখিয়ে অন্য এলাকার বাসিন্দাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই কাজও হয়নি। আবার এলাকার অনেক বাসিন্দা জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ পাননি। বারবার পঞ্চায়েত প্রধানকে এইসব অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে তাঁরা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনেন। বাসিন্দারা অভিযোগে জানিয়েছেন, মৌলিশোল ও কড়িয়াশোল মৌজায় ফলের বাগান তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। ১০০ দিনের প্রকল্পে এই কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ফলের বাগান না করেই টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।
প্রদীপ মাহাত, গোবিন্দ মোদক সহ স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, দুই এলাকায় দুই বাসিন্দার নামে এই প্রকল্প দেখানো হয়েছে। যেখানে কলাবাগান হয়েছে বলে টাকা খরচ করা হয়েছে, সেখানে কলাবাগান তৈরি হয়নি। আর এক জায়গায় কলাগাছের কোনও চিহ্নই নেই। দেখা যাচ্ছে, এই কাজে বহিরাগত শ্রমিকদের নামেও টাকা তোলা হয়েছে।
রাউতাশোল মৌজায় সেচ নালা সংস্কার ও পুকুর খননের কাজ না করেই কয়েকজনের নামে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যাঁরা এই কাজ করেননি, ১০০ দিনের প্রকল্পে তাঁরা এই কাজ করেছেন দেখিয়ে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, কোনও অনিয়ম হয়নি। বিজেপির বদনাম করার জন্যই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব তৃণমূলের চক্রান্ত। প্রশাসন যদি জানতে চায়, আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব। তিনি বলেন, ফলের বাগান করার কথা ছিল। কলার বদলে অন্য ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। আর এক জায়গায় যাঁর নামে ফলের বাগান হওয়ার কথা ছিল, তাঁদের পরিবারে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সময় চলে যায়। তাই সেখানে ফল বাগান করা যায়নি। সেই টাকায় অন্য কাজ হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে অনেক কাজ ঠিকাদারকে দিয়েও করাতে হয়। তখন ওই ঠিকাদারকে অন্য জায়গার শ্রমিকের নাম দিয়ে টাকা তুলতে হয়। এটা কোনও অনিয়ম নয়। তৃণমূল সব জেনে-বুঝেও এসব অভিযোগ করছে। প্রশাসন তদন্ত করলেই গোটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা সহযোগিতা করব।