শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, আরামবাগ মহকুমায় এর আগে করোনা পজিটিভ কেস ছিল না। যে কারণে আরামবাগের হাসপাতালকে সারি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু, এখন পজিটিভ কেস হওয়ায় ওই হাসপাতালকে প্রাক কোভিড বা সারি হাসপাতাল থেকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু করবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার ওই হাসপাতালের সার্বিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন মহকুমা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত মহকুমায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫। এদিন নতুন করে করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসেনি। এতদিন পর্যন্ত আরামবাগই ছিল জেলার একমাত্র করোনা মুক্ত মহকুমা। কিন্তু, ভিন রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই মহকুমাকে করোনা মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই প্রায় এক হাজারের বেশি ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিক মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন। তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশ বাসিন্দা খানাকুলের।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই যেভাবে আরামবাগ মহকুমায় করোনা সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। তাতে সমস্ত রিপোর্ট এলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সেই সময় জেলার শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে না। তাই বিকল্প পথ খুঁজতেই এবার আরামবাগ মহকুমাতেই কোভিড হাসপাতালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে শুধুমাত্র করোনা উপসর্গ থাকা এবং অসুস্থ ব্যক্তিদেরই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি নেওয়া হবে। করোনা পজিটিভ অথচ উপসর্গহীন ব্যক্তিদের থাকতে হবে হোম কোয়ারেন্টাইনেই। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের স্বাস্থ্যের গতিবিধির উপর নজর রাখবেন। প্রয়োজন হলে তবেই আক্রান্তদের আনা হবে করোনা হাসপাতালে।