শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
শুভাশিসবাবু বলেন, বাঁকুড়া জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে বাসে ও গাড়ি ভাড়া করে আসছেন। জেলায় ঢোকার পর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলি থেকে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এত নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের মাধ্যমে খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল, ছাতনা সুপার স্পেশালিটি ও বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাতে দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যায় সেজন্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছি।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কর্মসূত্রে বাইরে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও পাঞ্জাবে বিপুল সংখ্যায় লোক এখনও আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যগুলি থেকে ইপাস নিয়ে বাসে ও বিভিন্ন ধরনের গাড়িতে করে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা জেলার প্রতিটি ব্লক হাসপাতালে করা হয়েছে। কিন্তু, সংগ্রহ করা নমুনাগুলির মধ্যে মাত্র ১০০ থেকে ১২০টি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বাকি নমুনা কখনও মেদিনীপুর, কলকাতা বা দুর্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, ওই সমস্ত জায়গায় নমুনা পরীক্ষার লম্বা লাইন পড়ছে। ইতিমধ্যে বাধ্য হয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ৬টি হাসপাতালে দু’দিনের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তাই গত সপ্তাহেই বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলা থেকে নতুন করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল, ছাতনা ও বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়।