Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা। কিন্তু এবার বিপদ আরও ভয়ঙ্কর। একই সঙ্গে নেমে এসেছে জোড়া আঘাত। বিশ্বজোড়া মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়। দু’মাসের টানা লকডাউনে যখন মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়, তখনই ধেয়ে এসেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় উম-পুন। প্রবল ঝড়ে খোদ কলকাতা সহ সাতটি জেলা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। বসিরহাট, সাগরদ্বীপে স্থল বলে আর বিশেষ কিছু অবশিষ্ট নেই। জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, ঘরবাড়ি হারিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপন্ন, অসহায়। দেশভাগ, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, ফিবছর বর্ষায় মারণ প্লাবন, রাজনীতির আকচা আকচি, সংকীর্ণ স্বার্থ সব ছাপিয়ে আবার নিজেকে নতুন উদ্যমে গড়ে তোলার লড়াই এই মুহূর্তে বাংলার একমাত্র ধ্রুবপদ। সেই শপথেই বুক বাঁধতে হবে সরকার-বিরোধী, শত্রু-মিত্র সবাইকে। ভরসা আমাদের, এবারের এই কঠিন লড়াইয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং বাংলার অবিসংবাদিত জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের বিস্তীর্ণ দুর্গত এলাকা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও ভয়ঙ্কর অবস্থা নিজের চোখে দেখে রাজ্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। বাংলার এই দুর্দিনে জানিয়েছেন সমবেদনা। কিন্তু ওইটুকু অর্থে কী হবে? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হিসেব দিয়েছেন, ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার। এক হাজার কোটি টাকা তো সেখানে নস্যি। তার উপর রাজ্যের প্রাপ্য ৫৩ হাজার কোটি টাকা এখনও মেটায়নি কেন্দ্র। করোনা মোকাবিলার জন্যও মেলেনি আলাদা কোনও সাহায্য। বুলবুলের ক্ষতিপূরণ পেতে রাজ্যকে কতটা নাকাল হতে হয়েছে, তা তো রাজ্যবাসীর অজানা নয়। কিন্তু এবার চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। এই দুর্দিনেও কেন্দ্র যদি মুখে এক আর কাজে আর এক করে, তবে মানুষ ক্ষমা করবে না, কেন্দ্রের সরকার বাহাদুর যেন তা মনে রাখেন। আর ক্ষুদ্র, সংকীর্ণ রাজনীতির শিকার বাংলা তো গত একশো বছরে বারবার হয়েছে, কিন্তু কোনও কিছুই তার অদম্য গতিকে রোধ করতে পারেনি। এবারও পারবে না।
অথচ এত বড় বিপদ যে দরজায় কড়া নাড়ছে, তা কয়েকমাস আগে আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। গোটা একটা বছর যে এভাবে সর্বনাশে ডুবে যাবে, তা মার্চ মাসের গোড়াতেও আঁচ করা যায়নি। করোনা নামটা যেমন ৬-৭ মাস আগেও মানুষের কাছে অজানা-অচেনা ছিল, তেমনি ‘উম-পুন’এর কথা তো দু’দিন আগেও কেউ শোনেনি। শক্তিশালী ঝড় হয়তো আগেও হয়েছে, প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি, সব হারানোর কান্না আগেও বহু মানুষের দু’চোখের পাতা এক করতে দেয়নি। একেবারে শূন্যতে টেনে নামিয়েছে শতশত পরিবারকে। আইলা, ফণী, বুলবুলের ভয়ঙ্কর আঘাত এখনও হয়তো দুঃস্বপ্নের ভয়াল স্মৃতি হয়েই চেপে বসে আছে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারীর মধ্যেই সর্বনাশী সাইক্লোন যে এভাবে দুমড়ে মুচড়ে দেবে পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক জেলাকে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সকাল থেকে রাত, এতটা সময় ধরে এমন মারণ ধ্বংসলীলা সুন্দরবন, হিঙ্গলগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা সহ রাজ্যের বিশাল অংশের মানুষ আগে দেখেছে বলেও মনে করতে পারছেন না। বুধবার দুপুর থেকে রাত, টানা প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা যেন দাপিয়ে বেড়াল ‘উম-পুন’ নামক হঠাৎ জেগে ওঠা সুপার সাইক্লোনের স্বার্থপর দৈত্য। সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি। উথাল পাতাল বড় বড় গাছ গাছালি। ঠিক যেন বিরামহীনভাবে কোনও চাপা আক্রোশে বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ে সবকিছুকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার উন্মত্ত বাসনাকে চরিতার্থ করার চেষ্টা প্রকৃতির। উত্তাল সমুদ্রের মতো কোথাও সর্বোচ্চ দেড়শো তো কোথাও ১৩০ কিলোমিটার বেগে একের পর এক ঝড়ের ঢেউ ধেয়ে আসছে। যার অভিঘাতে হাজারে হাজারে কাঁচা বাড়ি ধূলিসাৎ। খোদ কলকাতার বুকেও হাজারের বেশি পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। পাকা বাড়ির কার্নিশ ভেঙে, দরজা জানলা উড়ে গিয়ে, বড় বড় গাছ পড়ে তছনছ অবস্থা। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রাণান্তকর অবস্থা।
টানা লকডাউনে রাজ্যবাসীর এমনিতেই মনোবল তলানিতে। কাজ নেই, ব্যবসা নেই, চাকরিও থাকবে কি না অনিশ্চিত। স্কুল কলেজ দু’মাসের উপর বন্ধ। চারদিকে শুধু স্বপ্নভঙ্গের বেদনা। চাপা দীর্ঘশ্বাস। অ্যাকাডেমিক ক্যলেন্ডার বিপর্যস্ত। মে মাস শেষ হতে চললেও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ হয়নি। জয়েন্ট পরীক্ষা পিছিয়ে জুনে। অন্যবার এই সময় ভর্তি শুরু হয়ে যায়। নতুন বই, নতুন পড়াশোনায় বুক বাঁধে ছেলেমেয়েরা। এবার সব শিকেয়। রং হারিয়ে সব কেমন যেন বিবর্ণ, ধূসর। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। শহরে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলার গরিব গ্রামে, যেখানে ছেলেমেয়েদের স্কুলে এখনও বসতে দেওয়ার ব্যবস্থাটুকুই নেই, সেখানে ডিজিটাল শিক্ষার স্বপ্ন কি অলীক কল্পনা নয়!
কিন্তু বিধ্বস্ত হলেও অসহায়ভাবে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বিশেষত আমাদের বাংলার অবিসংবাদী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ন’বছর শুধু অদম্য সাহস, নাছোড়বান্দা উদ্যম আর আপসহীন মাথা উঁচু করে চলার মানসিক জোরকে সম্বল করেই মা-মাটি-মানুষের নেত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাকে একের পর এক বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে তাঁর হার না মানা জেদ। গত ৬ বছর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে কার্যত সম্মুখ সমর চলছে বাংলার জননেত্রীর। মোদির দল যেনতেন অশান্তি, অস্থিরতা তৈরি করে রাজ্যকে টালমাটাল করতে মরিয়া। রাজ্য বিজেপির সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করছেন মহামান্য রাজ্যপালও। মহামারীর ভয়ঙ্কর দিনে সেই অসহযোগিতার চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্স দেখেছে রাজ্যবাসী। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে অর্থসাহায্য তো দূরস্থান, কখনও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পাঠিয়ে, আবার কখনও রাজ্যের দেওয়া যাবতীয় তথ্যকে উপহাস করে বিজেপির নেতারা মমতার নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে। অথচ জিএসটির প্রাপ্য টাকা পেলেই করোনা মোকালিায় আরও ফলপ্রসূ ভূমিকা নিতে পারত মমতার সরকার। তা না করে দিল্লি থেকে এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকারকে বারবার হতোদ্যম করার পথই বেছে নেওয়া হল। কেন্দ্রের মন্ত্রী-সান্ত্রীরা পর্যন্ত যা খুশি বলছেন। সরকার করোনা নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে বলেও তারা অন্যায় তোপ দাগছে। যেন গোটা কেন্দ্রীয় সরকারের একটাই কাজ মমতার সরকারের ব্যর্থতাকে যে কোনওমূল্যে সামনে আনা ও জনগণের সামনে তা তুলে ধরা। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর সময়েও কি রাজনীতিই সব। এ রাজ্যের বিরোধী শক্তির কি আর কোনওদিন চেতনা হবে না। এটা ভোটের সময় নয়। এই বিপদের সময় সঙ্কীর্ণ লাভ ক্ষতি ভুলে সবাইকে রাজ্যের হিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, এটাই সংসদীয় রাজনীতির শিক্ষা। এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে যাবতীয় বিভেদ ভুলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আর অগ্নিকন্যা মমতা যতদিন আছেন এই বাংলার ক্ষতি করা মোটেও খুব সহজ হবে না। করোনা মোকাবিলায় তিনি যেমন রাস্তায় নেমে মানুষকে সচেতন করেছেন, ঠিক তেমনি বুধবার যখন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো একের পর এক প্রলয়ঙ্কর ঝড়ের দাপটে সাগরদ্বীপ, কলকাতা সহ একের পর এক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত নেত্রী তখন কন্ট্রোল রুম সামলাচ্ছেন। অফিসারদের নির্দেশ দিচ্ছেন। মানুষের দুর্দশায় কাতর হচ্ছেন। এমন আঘাত গত একশো বছরে একসঙ্গে এই রাজ্যের উপর আগে কখনও নেমে আসেনি। আর বিপদের দিনে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু আগামী বছর বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা দখলের খেলা খেললে তো চলবে না। এখন তাই কী সরকার পক্ষ, আর কী বিরোধী পক্ষ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু ছিদ্র খুঁজলে, আর ভাষণ দিলে চলবে না। গঠনমূলক কিছু করার চেষ্টা করুন।
এ লড়াই কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের একার নয়, গোটা বাংলার। বাংলার প্রতিটি মানুষের। তাই সবাইকে একযোগে পুনর্গঠনের কাজ করতে হবে। সবশেষে বলি, কাজ করলেই ভুল হয়। কিন্তু যে কোনও সঙ্কটকে একেবারে সামনে থেকে মুখোমুখি মোকাবিলা করায় এখনও এই বাংলায় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বিকল্প নেই। রাজ্যের প্রতিটি মানুষ জানে, বাংলার অগ্নিকন্যাই একমাত্র মেলাতে পারবেন ‘ঝোড়ো হাওয়া আর পোড়ো বাড়ির দরজাটাকে’। তাঁর অসম সাহসে ভর করে মহামারী ও মহাপ্রলয় কাটিয়ে বাংলা আবার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবেই। জয় হবে মানুষের।
24th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে।
বিশদ

14th  May, 2020
একনজরে
লন্ডন, ২৫ মে: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে সর্বকালের সেরা কামব্যাক ম্যাচ কোনটি? ফুটবলপ্রেমীরা নির্দ্বিধায় ২০০৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের কথাই বলবেন। ২০০৫’এর ২৫ মে, ইস্তানবুলের ওলিম্পিক ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হ্যাকারদের কাজে লাগিয়ে করোনা-ভ্যাকসিনের ফর্মুলা হাতাতে মরিয়া চীন। খোদ ইন্টারপোল এই তথ্য জানিয়েছে এদেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে। এটা জানার পরই সিবিআই সতর্ক করেছে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে নিয়োজিত গবেষণাগারগুলিকে।   ...

সংবাদদাতা, কান্দি: সোমবার সকালে খড়গ্রাম থানার পুড্ডা গ্রামের মাঠে ধান কাটতে যাওয়ার সময় বাইকের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে জখম হলেন এক চাষি। দুর্ঘটনার পর বছর ৪০-এর জখম চাষি গোপাল মণ্ডলকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: সুপার সাইক্লোনের পাঁচ দিন পরেও বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটির একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন। পুরসভার কর্তারা জানাচ্ছেন, বাগজোলা খাল পরিপূর্ণ থাকায় বরানগর ও কামারহাটির ওয়ার্ডগুলি থেকে জল নামতে সময় লাগছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৩: জাপানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম। তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১২৯৩: জাপানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের১৮৯৭: ব্রাম ...বিশদ

07:03:20 PM

কাস্টমার সার্ভিসে আমাদের সুনাম রয়েছে: সিইএসসি 

04:46:27 PM

যে কোনও দুর্যোগেই সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়: সিইএসসি 

04:44:16 PM

আজ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে বৃষ্টির সম্ভাবনা 

04:44:00 PM

পুরসভার সঙ্গে সমন্বয়ের সমস্যা নেই: সিইএসসি 

04:43:40 PM

প্রায় ১৫০টি টিম কাজ করছে: সিইএসসি 

04:41:27 PM