শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি-১ ব্লকের দু’জন, ২ ব্লকের একজন, রামপুরহাট-২ ব্লকের একজন ও আর দুই আক্রান্ত ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের বাসিন্দা। অন্যজন বছর ৩২-এর ভবঘুরে। তাঁর বাড়ি গুজরাতে। এদের মধ্যে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বয়স ১৬। বাকিরা ১৮-৩২এর মধ্যে।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, ভবঘুরে যুবককে রামপুরহাট স্টেশন থেকে উদ্ধার করে ফিভার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। জ্বর থাকায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রামপুরহাট হাসপাতালেই ট্রুন্যাট পরীক্ষা করা হয়। পজিটিভ রিপোর্ট আসায় নিশ্চিত হতে কলকাতার নাইসেডে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কোভিড সেন্টারে। এদিন সেখান থেকেও তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অন্যদিকে আক্রান্ত ছয় শ্রমিক তাঁদের নিজ নিজ ব্লকের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। তাঁদের উপসর্গ না থাকলেও সংক্রামিত ভিনরাজ্য থেকে ফেরায় তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি পাঠিয়ে আলাদা থাকতে বলা হয়।
জানা গিয়েছে, নলহাটি-১ ব্লকের দু’জনের মধ্যে একজন রাজস্থানে সিমেন্টের কারখানা, অন্যজন হাওড়ায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ১৫মে রাজস্থান থেকে আক্রান্তের সঙ্গে আরও চার যুবক বাসে করে ও হাওড়া থেকে আক্রান্তের সঙ্গে লরি ভাড়া করে আট যুবক ফেরেন। তাঁদের ছ’দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টরে রেখে সোয়াব সংগ্রহের পর হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, নলহাটি-২ ব্লকের আক্রান্ত যুবক সহ প্রায় ৫৪জন শ্রমিক মুম্বই থেকে লরি ভাড়া করে ফিরেছিলেন। যার মধ্যে আক্রান্তের গ্রামরেই পাঁচজন ছিলেন। ১৮মে রামপুরহাট থানার পুলিস লরি আটকে ওই শ্রমিকদের তারাপীঠ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখে। তারপর সকলের লালারস সংগ্রহ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে রামপুরহাট-২ ব্লকের আক্রান্ত বছর ১৬-র নাবালক মুম্বই থেকে বাসে করে ১৭মে সরাসরি বাড়িতে আসে। ১৯মে সে স্থানীয় তারাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। সেদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। অন্যদিকে, ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের আক্রান্ত যুবক সহ ওই গ্রামেরই সাতজন গাড়ি ভাড়া করে ১১মে কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে গ্রামে ফেরেন। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানার পর ১৫মে তাঁদের নন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ১৮মে নমুনা সংগ্রহের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে এই ব্লকেরই মুম্বই ফেরত এক শ্রমিকের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। যদিও ১৮মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল মহম্মদবাজারে। সেখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানেননি।
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, এই স্বাস্থ্যজেলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফটা বেশ দুশ্চিন্তার। অধিকাংশই উগসর্গহীন। এই সাত আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা প্রায় ১০০জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হবে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই স্বাস্থ্যজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ থেকে এক লাফে বেড়ে হল ২০। একজন স্বাস্থ্যকর্মী বাদে সকলেই ভিনরাজ্য ও জেলা ফেরত।