শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উম-পুনের হানায় জেলায় ৪৩৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক(পঞ্চায়েত) প্রতিমা দাস বলেন, ঝড়ের পর জেলার বিভিন্ন ব্লকের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসেব তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রীর কাছে সমস্ত বিষয়টি তুলে ধরা হবে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী জেলায় আসছেন। করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনি তিনটি আলদা জায়গায় বৈঠক করবেন।
উম-পুনের তাণ্ডবে এই জেলার একাধিক ব্লক তছনছ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২১টি ব্লক এবং ৭টি পুরসভা এলাকা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলার ২৬০০ বর্গ-কিলোমিটার এলাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে ২লক্ষ ৩১হাজার ৮৭৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ এবং আংশিক মিলিয়ে ৫০হাজার ১৮টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। সমস্ত ব্লক ধরে সেই তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণিসম্পদ, কৃষি, বন, পূর্ত, শিক্ষাদপ্তর মিলিয়ে ৪৩৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। কৃষিদপ্তরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, জেলাজুড়ে ৩৯৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য দপ্তরের ৩৯ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তৈরি এই রিপোর্টই আজ মন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে।
জানা গিয়েছে, সকালের দিকে মন্ত্রী ঘাটাল যাবেন। সেখানে বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে, মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে তাঁর বৈঠক রয়েছে। রাতে তাঁর মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে থাকার কথা রয়েছে। বুধবার সকালের দিকে তিনি দাঁতন এলাকায় যাবেন। দাঁতন, মোহনপুর, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।