Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না। সব নোনা। সুন্দরবনের দ্বীপগুলোর মাঝে মিষ্টি জলের যতটুকু সংস্থান ছিল, তার একটিরও অস্তিত্ব নেই। পুকুরে মাছ চাষ হয়েছিল, সব মরে গিয়েছে। সরকার বা বায়ুসেনার পক্ষ থেকে যে কয়েকটা জলের পাউচ কপ্টার থেকে নীচে পড়েছিল, সেগুলোই সম্বল। একটু একটু করে গলা ভেজাতে হবে... মনে ভয় নিয়ে... এই বোধহয় ফুরিয়ে গেল। আর তার সঙ্গে চলবে খোঁজ, মিষ্টি জলের উৎসের...। কোথাও এতটুকু কি বাকি আছে? চাষের সব জমি কি নোনা হয়ে গিয়েছে? তাহলে কী খেয়ে বাঁচব? 
এ কথা এক দশক আগের। ২০০৯ সালের ২৫ মে ‘আইলা’ এসেছিল। ছারখার করে দিয়েছিল সুন্দরবন, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনার অনেকটা। তারপর বয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। যে আঘাত আইলা হেনেছিল, তার দগদগে ঘা আজও সুন্দরবন বহন করছে। সেখানে এখনও অপুষ্টিতে ভোগে শিশুরা, বহু জমি আজও নোনা ধরে রেখেছে। এবং তারপরও শেষ হয়ে যাননি সরযূ মণ্ডলরা... বরং চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, খুঁজেছেন নতুন উপায়। কিন্তু আইলার দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার আগেই যে এসে পড়েছে উপ-পুন! যতটুকু খড়কুটো এই ১১ বছরে জড়ো করা গিয়েছিল, তার সবটাই ফের ভেসে গিয়েছে। আবার এক ঘূর্ণিঝড় পথে নামিয়েছে সরযূদের। ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া কাঁচা রাস্তার যতটুকু জলের ধারে বেঁচে রয়েছে, সেখান দিয়েই এবার তাঁরা ত্রাণ নিয়ে ফিরবেন। আশ্রয় শিবিরে। তারপর আবার ফিরে যাবেন ওই ভাঙা রাস্তায়... হাত লাগাবেন বাঁধ মেরামতে। নামবেন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে। ওই রাস্তা অবরোধ করার সংস্থান বা ভাবনা... কোনওটাই নেই তাঁদের। উপায় নেই বিক্ষোভ দেখানোরও...।
ঝড়ের পর বিদ্যুৎ নেই ৬০ ঘণ্টা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবিতে ভদ্রেশ্বরে পথ অবরোধ হয়েছে। চলছে বিক্ষোভ। মোটেই অস্বাভাবিক নয়। বহু বাড়িতে শিশু রয়েছে, রুগীও আছে। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুবিধাটুকু যদি দিনের পর দিন না মেলে, তা তো কখনও মেনে নেওয়া যায় না! সরকার কী করছে? পুরসভা কী করছে? বিদ্যুৎ কোম্পানির ভূমিকা এরকম কেন? পরিকাঠামো নেই কেন? এইসব প্রশ্নের যুক্তি আছে... পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু দাবি যে আরও একটা রয়েছে! আমাদের এখানে বিদ্যুৎ নেই বলে পাশের পাড়াতেও পরিষেবা দেওয়া যাবে না। আমরা না পেলে পাবে না ওরাও। যে অঞ্চল স্বাভাবিক হয়েছে, তাদের থেকেও কেড়ে নিতে হবে পরিষেবা। বোঝাতে হবে... আমরা যতদিন কষ্টে থাকব, তোমাদেরও থাকতে হবে। বেশ ‘সাম্যবাদী’ চিন্তাভাবনা। কিন্তু মহাশয়রা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন, ওইসব বাড়িতেও শিশু আছে... রোগী আছে। তাদের অপরাধ কী?
আপনার-আমার ঘরের পাশে কি কোনও সরযূ মণ্ডল থাকেন? আমরা শহুরে... খুঁজে দেখার মতো অত সময় আমাদের নেই। এক কি দু’কামরার নিউক্লিয়ার সংসার, আর অফিস। ব্যাস! ওখানেই সব শেষ। জীবন আমাদের আজ স্বার্থপর করেছে। আমরা আজ দৌড়চ্ছি...। লক্ষ্য? বেশি বেশি উপার্জন, পরিবারের বৃত্তটা আরও ছোট করে আনা। দায়িত্ব শব্দটা আজ পর্যবসিত হয়েছে ‘দায়ে’। তাই লকডাউনে বাড়িতে বসে থাকাটা বিরক্তিকর। দু’বার, তিনবার করে দোকান-বাজার যাওয়াতেই সব সীমাবদ্ধ। তার উপর এসেছে কি যেন এক ঘূর্ণিঝড়। তিনদিন ধরে আলো নেই, পাখা চলছে না, ওয়াটার পিউরিফায়ার খারাপ... এভাবে বাঁচা যায়? কিছু তো বাস-গাড়ি রাস্তায় বেরিয়েছে! একটু হলেও তো শহর স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে! সেটাই যথেষ্ট। বসে পড়তে হবে পথে। বাড়িতে আলো, জল না আসা পর্যন্ত উঠব না। কিন্তু গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে যে! উত্তরও রেডি—‘সে তো ঝড়ে হতেই পারে... জুড়তে কত সময় লাগে?’ কতগুলো ট্রান্সফর্মার যে ঝড়ের সময় বিস্ফোরণে অকেজো হয়ে গেল? ‘সেটাও তো স্বাভাবিক! লোকগুলো কাজ করছে না কেন?’
আমাদের মধ্যে কারও কারও চিন্তা-ভাবনা, প্রশ্নোত্তরগুলো আজ এমনই অসহিষ্ণুতার আড়ালে দাপিয়ে বেড়ায়। সভ্য সমাজে গালভরা একটি শব্দবন্ধ আছে, ‘স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিং’। অর্থ কী এর? যেমন আয়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবনধারা সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু আজকের সমাজে স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিংয়ের মানেটা বদলে হয়েছে কমফর্ট। স্বাচ্ছন্দ্যের স্তরটাকে দেদার বাড়িয়ে যাওয়া। পরে যার সঙ্গে আপস করাটাই মুশকিল হয়ে যায়। জন্ম নেয় অসহিষ্ণুতা। মহাত্মা গান্ধী বলতেন, কোনও বিষয় সঠিকভাবে জানা বা বোঝার ক্ষেত্রে রাগ আর অসহিষ্ণুতা সবচেয়ে বড় অন্তরায়। অথচ, আজ আমরা অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। যার উপসর্গ দিন দিন বাড়ছে। কাজ করতে যাওয়া বিদ্যুৎ কর্মীদের ‘আপ্যায়ন’ করা হচ্ছে বাছাই করা বিশেষণ দিয়ে। ঘিরে ধরছে লোকজন। উড়ে আসছে হুমকি, ‘আলো না আসা পর্যন্ত বেঁধে রাখ এদের’। এপাশ ওপাশ থেকে পড়ছে চড়-থাপ্পড়। আমরা তখন ভুলে যাচ্ছি, ওই গুটিকয়েক লোকই একটা গোটা ইউনিট সারাইয়ের দায়িত্বে আছেন। ঝড়ের আগে থেকেই তাঁরা একবারের জন্য দু’চোখের পাতা এক করেননি। কেউ টানা ৪৮ ঘণ্টা, কেউ ৬০ ঘণ্টা ডিউটি করছেন। এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া... ছুটছেন তাঁরা। মই বেঁধে ট্রান্সফর্মারে উঠে কাজ করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাঁরা জানেন না, কোন তারটা, বা ট্রান্সফর্মারের কোনও অংশটা বিদ্যুৎবাহী হয়ে রয়েছে। ফোন লাইন বহু জায়গায় বিপর্যস্ত। অথচ, সে সব খেয়াল না রেখেই হাতের কাছে পাওয়া মানুষগুলোর উপর বিষ উগরে দিচ্ছি। ভুলে যাচ্ছি, এদের বেঁধে রেখে দিলে আমার ঘরেই বিদ্যুৎ আসবে না।
কী বলা যায় একে? সভ্যতা? নাকি এটাও স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিংয়েরই অংশ?
সরযূ মণ্ডলদের কাছে অবরোধ-বিক্ষোভ বিলাসিতা। আসল চ্যালেঞ্জ একটাই, বেঁচে থাকা। তাঁদের পেটে ভাত নেই, ‘৭২ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন’ বলার মতো বাড়িটাও নেই। সেটা তো আমাদের আছে! ঝড়ের আতঙ্কে এলাকার একটা মাত্র পাকা বাড়িতে গিয়ে অন্তত আমাদের শ’খানেক লোককে ঠাসাঠাসি করে রাত কাটাতে হয় না। এটাও তো আশীর্বাদ! পার্ক সার্কাস ময়দানের ধারে দু’টি বছর আষ্টেক আর একটি বছর দু’য়েকের সন্তান নিয়ে যে মা প্লাস্টিক খাটিয়ে থাকে, বিক্ষোভে বসার আগে তার কথাটা আমরা একবার ভাবতে পারি না? বাড়িতে পানীয় জল নেই... বাজারে ৫০ টাকার বোতল কিনতে হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। খুব সত্যি কথা। তাও আমরা জল পাচ্ছি। পাখা চলছে না, মোবাইল চার্জ হচ্ছে না, ওয়াই ফাই বন্ধ, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটছে... তাও আমাদের বলার মতো একটা ছাদ আছে। করোনা আঘাত হানার পর পথের মানুষদের জন্য পুলিস-প্রশাসন বা বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিত্য খাবারের ব্যবস্থা করছিল। এই দুর্যোগে সেটাও চারদিন বন্ধ। মানে সেই মানুষগুলো পেটে কিল মেরে কোথাও একটা পড়ে রয়েছে। আর আমরা? ডাইনিং টেবলে বসে সরকার, বিদ্যুৎ কোম্পানি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বাপবাপান্ত করছি।
কাজ করছে ওরা... অক্লান্ত। না হয় একটু
সময় দিয়ে দেখি। সরযূদের পাশে আমরা সবাই দাঁড়াতে পারব না। হয়তো সেই প্রয়োজনও ওদের নেই। ওরা নিজেরাই খুঁজে নেবে উপায়। বেঁচে থাকার। শূন্য থেকে শুরু করবে নিঃস্ব ওই লোকগুলো। আমরা না হয় সেই লড়াইকে মনে রেখেই একটু ধৈর্য ধরে দেখি। মানবিকতার উপর বিশ্বাসটা তাহলে অন্তত থাকবে।
ধৈর্যের কোনও বিকল্প নেই। ঝড় উঠবে... থামবেও। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। জীবনেরও। সবটাই পরিবর্তনশীল। আজ একটু কষ্ট হচ্ছে... আরাম একটু কম হচ্ছে। কাল তো সব ঠিক হবে। আমাদের ঘরে আলো আসবে। বাড়তি দাম দিয়ে কিনে জল খেতেও হবে না। রাস্তাপাশের ওই মানুষগুলোও খেতে পাবে...।
সরযূদের লড়াই কিন্তু তখনও চলবে। 
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে।
বিশদ

14th  May, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কান্দি: সোমবার সকালে খড়গ্রাম থানার পুড্ডা গ্রামের মাঠে ধান কাটতে যাওয়ার সময় বাইকের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে জখম হলেন এক চাষি। দুর্ঘটনার পর বছর ৪০-এর জখম চাষি গোপাল মণ্ডলকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ।  ...

নয়াদিল্লি, ২৫ মে: সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তার মধ্যেও চলছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রস্তুতি। তার অংশ হিসেবে করোনা মহামারী মোকাবিলায় সারা দেশের সামনে চারটি শহরকে সম্ভাব্য রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরল কেন্দ্রীয় সরকার।   ...

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: লকডাউনেও আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রাত্যহিক চাহিদা অনুসারে মাছের জোগান স্বাভাবিক রাখতে এবার জেলার প্রান্তিক মৎস্য চাষিরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের সুবিধা পেতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাবেন। জেলায় মাছ চাষে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়ার সুবিধা এ বছরই প্রথম। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: সুপার সাইক্লোনের পাঁচ দিন পরেও বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটির একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন। পুরসভার কর্তারা জানাচ্ছেন, বাগজোলা খাল পরিপূর্ণ থাকায় বরানগর ও কামারহাটির ওয়ার্ডগুলি থেকে জল নামতে সময় লাগছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৩: জাপানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম। তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১২৯৩: জাপানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের১৮৯৭: ব্রাম ...বিশদ

07:03:20 PM

কাস্টমার সার্ভিসে আমাদের সুনাম রয়েছে: সিইএসসি 

04:46:27 PM

যে কোনও দুর্যোগেই সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়: সিইএসসি 

04:44:16 PM

আজ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে বৃষ্টির সম্ভাবনা 

04:44:00 PM

পুরসভার সঙ্গে সমন্বয়ের সমস্যা নেই: সিইএসসি 

04:43:40 PM

প্রায় ১৫০টি টিম কাজ করছে: সিইএসসি 

04:41:27 PM