বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে জেলা সদর বাঁকুড়ার পাশাপাশি বিষ্ণুপুর, খাতড়া, বড়জোড়া, সোনামুখী সহ জেলার বহু জায়গায় সব্জি বাজারের সঙ্গে খুলে যায় কসমেটিক্স, চা,পান-বিড়ির দোকানও। অধিকাংশ জায়গাতেই পুলিসের নজরদারি শিথিল হয়ে যাওয়ায় বাইক ও টোটো দাপিয়ে বেড়ায়। দোকানগুলিতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া শহরের বাজারগুলি জীবাণুমুক্ত করতে পুরসভা ও দমকলকর্মীরা মাঠে নামেন। চকবাজার, রামপুর বাজার, সতীঘাট, লোকপুর, নতুনচটি বাজারে স্প্রে করা হয়। এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিভিন্ন ব্লকে গাড়িতে করে চাল, আলু সরবরাহ করা হয়। ইন্দাসের গোবিন্দপুর মোড়ে স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিস নিজেদের বেতনের অর্ধেক টাকা দিয়ে ২৫০ জন গরিব মানুষকে চাল, আলু ও সয়াবিন বিলি করেন। বরাদ্দের তুলনায় কম পণ্য দেওয়ায় বাঁকুড়া থানার রাজগ্রামে স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রেশন ডিলার।
এদিকে, একইভাবে, লকডাউন উপেক্ষা করে পুরুলিয়া শহরে রামনবমীর পুজোর বাজার করতে দেখা যায় বহু মানুষকে। হাটের মোড়, চকবাজার সহ একাধিক এলাকায় পুজোর ঝান্ডা ও সামগ্রী কিনতে ভিড় জমান বাসিন্দারা। শহরের বেশকিছু জায়গায় এদিন টোটোও চলাচল করে। রামনবমীর পুজোকে ঘিরে জেলার অন্যান্য প্রান্তেও কমবেশি একই চিত্র দেখা যায়।
পুরুলিয়া জেলায় এদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীর সংখ্যা ৯৭ জন বেড়ে ২৩৩ হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ৫৭৮ জন বেড়ে ১৮ হাজার ৩৫৩ জন হয়েছে। এছাড়াও দু'জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও তাঁদের দুজনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এদিন রেশন দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
আরামবাগ মহকুমাজুড়ে একই চিত্র। পাড়ার মোড়ে মোড়ে বিকেল হলেই খুলছে চায়ের দোকান। এছাড়া খেলার মাঠে বিকেলে জমায়েত হচ্ছে। যদিও পুলিস-প্রশাসনের দাবি, এ ধরনের খবর আসামাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা মহিলার কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত বিমানযাত্রীর সঙ্গে একই বিমানে দক্ষিণ ভারত থেকে এ রাজ্যে ফিরেছিলেন। তাই তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ও শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তবে স্বাস্থ্যদপ্তর ওই মহিলাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।