বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই মুহূর্তে পাঁচটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। ভিনরাজ্য থেকে আসা কয়েকশো ব্যক্তি ওই সব সেন্টারে আছেন। তবে, হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা বেশি। সোমবার বিকেল ৫টার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি, দীঘা এবং কোলাঘাটকে লকডাউন করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে পুরসভা না হওয়া সত্ত্বেও দীঘা এবং কোলাঘাটকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। কারণ, দীঘা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসেন। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকেই। আর কোলাঘাট ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এখানকার হোটেল, ধাবায় ভিনরাজ্য থেকে আসা লরি চালক, খালাসি সহ অনেকেই যান। এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য যাবতীয় পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ হলেও কোলাঘাটকে শাটডাউন করার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে স্থানীয়দের দাবি। এদিন তমলুক, হলদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়। অযথা বাড়ির বাইরে না বেরনো, প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে স্ক্রিনিং করা চলছে। রবিবার শুধুমাত্র মেচেদা পথসাথীতে আড়াই হাজার যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। দীঘা-ওড়িশা সীমানা এলাকায় দু’জায়গায় থার্মাল স্ক্রিনিং চলছে। আরও তিনটি জায়গায় বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও স্ক্যানারের অভাবে বসানো যাচ্ছে না। খড়্গপুর স্টেশনে নেমে এগরার পটাশপুর হয়ে যাঁরা এগরার দিকে রওনা দিচ্ছেন, তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে এগরার গোপীনাথবাজারে। জেলার তিন দিকে থার্মাল স্ক্রিনিং করে যাত্রীদের প্রাথমিক পরীক্ষা করে নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে শিল্পশহর হলদিয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ট্রাক, ট্রেলার, ট্যাঙ্কর চালক ও খালাসিদের থার্মাল স্ক্রিনিং করানো হয়। রবিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক হাওড়া ও সাঁতরাগাছি স্টেশনে নামেন। সোমবার ভোর থেকেই তাঁরা বাসে বাদুড়ঝোলা অবস্থায় বাড়ির পথে রওনা দেন।
এদিন জেলার বিভিন্ন স্কুলে মিডডে মিলের চাল ও আলু বিতরণ ছিল। সেই উপলক্ষে স্কুলে অভিভাবকদের লম্বা লাইন ছিল। আবার বেশকিছু স্কুলে ব্লক থেকে মিডডে মিলের চাল সরবরাহ ছিল না। অভিভাবকরা স্কুলে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও চাল না পেয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখিয়ে বাড়ি ফিরে যান। করোনা আতঙ্কের মধ্যেও আলু এবং চাল বিতরণ নিয়ে কিছু স্কুলে ঝামেলা হয়েছে।