বিএনএ, আসানসোল: বুধবার আসানসোলের সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় এখনও দুষ্কৃতীরা অধরা রয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড যোগ ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারি থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে এক গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আসানসোলের ওই সোনার দোকানের কাগজ পাওয়ায় দুই রাজ্যের পুলিসই যৌথভাবে অপারেশন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের একাধিক দল বার বার ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে অভিযানও চালিয়েছে। এদিকে দুষ্কৃতীদের এখনও গ্রেপ্তার করতে না পারায় রবিবার শহরের বহু স্বর্ণ ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকেরও দ্বারস্থ হন। মন্ত্রীও তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, পুলিস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আমার কাছে এসেছিলেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি পুলিস যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তারা ভিন রা঩জ্যে একাধিক টিম পাঠিয়েছে। আমি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছি।
ব্যবসায়ী নরেশ আগরওয়াল বলেন, আমরা এদিন মলয়বাবুর কাছে গিয়েছিলাম। পুলিসি তদন্তের উপর আমাদের ভরসা আছে। অন্যদিকে ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গলের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি শচীন ভালোটিয়া বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। আশা করি এক্ষেত্রেও তারা সফল হবে।
পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে আসানসোলে জিটি রোডের পাশে থাকা সোনার দোকানে প্রায় আড়াই কোটি টাকা লুটের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিসের নজর ছিল বিহার, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের দিকে। প্রথম দিন থেকেই তারা সেখানকার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। সেই সূত্র ধরেই পুলিস জানতে পারে, ঘটনার পর বোকারোর অদূরে চন্দ্রনকেয়ারি থানা এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী রাতে কোনও নথি পোড়াচ্ছিল। গ্রামবাসীরা বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে একজনের মৃত্যু হয়। সেখানেও পাঁচজন দুষ্কৃতীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আসানসোলের ওই সোনার দোকানের কিছু নথিও পেয়েছে পুলিস। এরপরেই পুলিসের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। এখান থেকে উচ্চপদস্থ পুলিস অধিকারিকরা ভিন রাজ্যে গিয়ে হন্যে হয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছে।