ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের ঘোড়াধরায় রয়েছে লায়ন্স ক্লাব অব ইমিউনাইজেশন সেন্টার। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হয়। এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-৩ নন্দকুমার মল্লিক, এসিএমওএইচ(সদর) মনোজ মুর্মু আচমকা পরিদর্শনে যান। সেই সময় শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এমনকী, ছ’জন শিশুর টিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ই স্বাস্থ্যকর্তারা টেবিল থেকে একটি ভ্যাকসিন তুলে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। ওই ভ্যাকসিনটি ২০১৯ সালে এপ্রিল মাসেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারপরই স্বাস্থ্যকর্তারা ভ্যাকসিনটি সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
এদিকে এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর ভ্যাকসিন না দিয়েই শিশুদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। ছেলেকে ভ্যাকসিন দিতে আসা তপন শীট বলেন, এখানে একজন অফিসার এসে দেখে বললেন, এখানে কেন মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন রাখা আছে? তারপর থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ। আমরা তো কী করব বুঝতে পারছি না। বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দিতে এসে যদি মেয়াদ উত্তীর্ন ভ্যাকসিন থাকে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি! শিশুকে ভ্যাকসিন দিতে আসা সমরেশ কর নামে এক ব্যক্তি বলেন, গত সপ্তাহে এসে এখানে জেনে গিয়েছিলাম, বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে কি না। সেই মতো বাচ্চাকে আজ নিয়ে এসেছিলাম। এখন দেখছি, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন পাওয়া গিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ওই ক্লাবে নিয়ম না মেনে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আগেই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কারণ, লায়ন্স ক্লাবে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছিল। যিনি ভ্যাকসিন দেন, তিনি প্রশিক্ষিত নন। তাঁকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবুও তিনি প্রশিক্ষণ নেননি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, ভ্যাকসিন রাখার ক্ষেত্রে যেভাবে নিয়ম মানা উচিত, এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
এদিন ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্বে থাকা সুব্রত পাত্র বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, টেবিলের রাখা ছিল। আজ যে ছয় জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কারও কিছু হলে তার দায়-দায়িত্ব, আমাদের ও লায়ন্স ক্লাবের।
ডেপুটি সিএমওএইচ-৩ নন্দকুমার মল্লিক অবশ্য বলেন, আমি কিছু বলব না। যা বলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলবেন। ঝাড়গ্রাম জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আরও বলেন, সবার কাছে আবেদন, সরকারিভাবে হাসপাতালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিন।
লায়ন্স ক্লাব ঝাড়গ্রামের সভাপতি বিদ্যুৎ প্রতিহার বলেন, আপনার কাছে বিষয়টি শুনলাম। তবে এরকম হওয়ার কথা নয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।