বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বিডিওর প্রতিনিধি, বড়জোড়া থানার প্রতিনিধি ও খনি পরিচালন সমিতর অন্যতম সদস্য অলক মুখোপাধ্যায় মারফত আলোচনার লিখিত চিঠি হাতে পান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মধ্যে উত্তম কর্মকার বলেন, সমস্যা সমধানের জন্য প্রশাসনের তরফে ২৭ফেব্রুয়ারি বিকেলে বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির মিটিং হলে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে গ্রামের ১০জন প্রতিনিধি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, খনি পরিচালন সমিতির সদস্য, পিডিসিএল, মন্টি কার্লোর প্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। তাই প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে এদিন আমরা অনশন প্রত্যাহার করেছি। তবে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলি দ্রুত কার্যকর না করলে ফের আন্দোলনে নামব।
খনি পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, কর্মকারপাড়ার বাসিন্দারা সত্যিই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই তাঁদের সমস্যার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে আলোচনার জন্য আমি প্রশাসন ও খনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাব।
প্রসঙ্গত, বড়জোড়া নর্থ খোলামুখ খনি লাগোয়া মনোহর গ্রামের কর্মকারপাড়ার অধিকাংশ বাড়িতেই ব্লাস্টিংয়ের কারণে ফাটল ধরেছে। তাই ক্ষতিপূরণ, চাকরি ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কর্মকারপাড়ার বাসিন্দারা। বারবার প্রশাসন ও খনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানোর পরেও প্রশাসন কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় সোমবার থেকে খনির সামনে আমরণ অনশনে বসেন কর্মকারপাড়ার বাসিন্দারা। অনশন মঞ্চে দু’জন অসুস্থও হয়ে পড়েন। তারপরেই এদিন প্রশাসনের তরফে অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়।