গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
তবে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, হাসপাতালে ডায়ালিসিস না করানোর অভিযোগ ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছিল। ওঁরা ডায়ালিসিসের সরঞ্জাম না আসায় সাময়িক অসুবিধার কথা জানান। তবু বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
গড়বেতার আমলাগোড়ার বাসিন্দা সুচিত্রা দে বলেন, আমার স্বামী বিশ্বজিৎ দে গত ৩০ডিসেম্বর রাতে কিডনির সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা ডায়ালিসিস করাতে বলেছেন। সেই মতো গত শনিবার থেকে ঘুরছি। পরে মঙ্গলবার ডায়ালিসিস করানোর ডেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ওইদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও ডায়ালিসিস করা হয়নি। বুধবার সকালে গেলেও কখন হবে কর্তৃপক্ষ তা জানায়নি। এভাবে চলতে থাকলে রোগীর আরও বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
পাত্রসায়রের পাটিত গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা সালুই বলেন, আমার মেয়ে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ২৩দিন ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকরা সপ্তাহে তিনটি ডায়ালিসিস করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’টোর বেশি করাতে চাইছে না। বাকি একটা বাইরে থেকে করাতে বলছেন। আমরা গরিব মানুষ। বাইরে থেকে ডায়ালিসিস করানোর টাকা কোথায় পাব।
এবিষয়ে বিষ্ণুপুর রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু করেছেন। কিন্তু, একশ্রেণীর কর্মী নিজেদের ইচ্ছামতো রোগীদের হয়রান করছেন।