গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেভি সুব্রহ্মণিয়ম নামে প্রাক্তন ওই রেলকর্মী কোয়ার্টারে একাই থাকতেন। তাঁর গলায় সোনার চেন, হাতে সোনার ব্রেসলেট এবং আঙুলে হীরের আংটি ছিল। তাঁর বাড়ির কাছেই মূল অভিযুক্ত সুধীরের বাড়ি। সুধীর খড়্গপুর পুরসভায় জল বিভাগের কর্মী। এলাকার ছেলে হওয়ায় প্রাক্তন রেলকর্মীর সম্পর্কে তার কাছে আগাম তথ্য ছিল। তাঁকে খুন করে সোনা ও হীরের গয়না হাতানোর পরিকল্পনা করে সে। কিন্তু, একা এই কাজ করা সম্ভব নয় বলে সে পাঁচজনকে ডেকে আনে। টি শঙ্কর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। ১২ জানুয়ারি রাতে পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টারে বসে তারা ছ’জন মিলে প্রাক্তন ওই রেলকর্মীকে খুনের ছক কষে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ভিনরাজ্যের বাসিন্দাও আছে। সে গত ৭ জানুয়ারি খড়্গপুরে এসে একটি লজে ছিল। তার সহযোগী ছিল মোহন রাও। ১২ তারিখ রাতে তারা সকলেই নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে বসে খুনের ছক কষে। ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে সুযোগ বুঝে প্রাক্তন রেলকর্মীর কোয়ার্টারের পিছন দিক দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢোকে তারা। এরপর তাঁর হাত-পা বেঁধে দেয়। চিৎকার যাতে না করতে পারে, তার জন্য মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। পরে টি শঙ্করই তাঁর দেহ থেকে সোনার হার, ব্রেসলেট, হীরের আংটি হাতিয়ে নেয়। এমনকী, ব্যাঙ্কের পাসবুকও নিয়ে যায়। সোমবার সকালে ঘরের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, প্রাক্তন ওই রেলকর্মীর দেহ থেকে সোনা, হীরের আংটি, হার সবই খোয়া গিয়েছে। ব্যাঙ্কের পাসবই উধাও। এরপরই পুলিস অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। বুধবার রাতেই মূল অভিযুক্ত সুধীরের হদিশ পায় পুলিস। তাকে গ্রেপ্তার করার পর জেরা করে টি শঙ্কর, মোহন রাওকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। প্রাক্তন ওই রেলকর্মীর কাছ থেকে গয়না হাতানোর পর তা মোহন রাওয়ের কাছে রাখা ছিল। ফলে, ধৃতদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি সোনার গয়নার কিছু অংশ পুলিস উদ্ধার করেছে।
পুলিস সুপার এদিন আরও বলেন, আসলে প্রাক্তন ওই রেলকর্মী একা থাকতেন। তার কাছে প্রচুর টাকা, গয়না রয়েছে বলে খবর ছিল। তাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম আমরা এখনই বলছি না। এটুকু বলতে পারি, দু’জনের বাড়ি মেদিনীপুর এলাকায়। আমরা ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হবে।