অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
এদিন মিছিলে অংশগ্রহণকারী মহিলারাই চারটি ঠেকে গিয়ে ভাঙচুর চালান। প্রচুর মদের বোতল ভেঙে নষ্ট করার পাশাপাশি ঠেকগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযানের আগেই ঠেকমালিকরা পালিয়ে যায়। পরে মিছিল করে গিয়ে মহিলারা বন্দরের প্রশাসনিক অফিসের সামনে বেশকিছু সময় অবস্থানে বসেন। কর্মসূচি উপলক্ষে মন্দারমণি কোস্টাল থানার বিশাল পুলিস বাহিনী উপস্থিত ছিল। এরপরই শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা রামনগরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়কের নেতৃত্বে ১০জনের প্রতিনিধিদল স্পেশাল অফিসারের কাছে ১৮দফা দাবিতে স্মারকলিপি তুলে দেন। ড্রেজিং ছাড়াও অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, বন্দরে অসামাজিক কাজ, তোলাবাজি ও মদের ঠেক বন্ধ করতে হবে। বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহারযোগ্য পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ইত্যাদি।
এদিকে অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের বক্তব্য, মদের ঠেকগুলি চলার কারণে এলাকার পরিবেশ কলুষিত হচ্ছিল। বারবার পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই তাঁরা ঠেকগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। অন্যদিকে, মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক স্বদেশরঞ্জন নায়ক বলেন, শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরের মোহনায় ড্রেজিং না হলে আগামী দিনে বন্দর স্তব্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া বন্দর এলাকায় মদের ঠেক চলার কারণেই কয়েকদিন আগে এক মৎস্যজীবী খুন হয়েছেন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্দরের স্পেশাল অফিসার বিশ্বরূপ বসু বলেন, ড্রেজিংয়ের বিষয়ে একটি স্কিম তৈরি করে মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য সমস্যাগুলি আমরা নিরসন করার চেষ্টা করছি।