অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
স্থানীয় ও মৃত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়ন গত ২৮ নভেম্বর মা ও দিদার সঙ্গে ওই গ্রামের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে যায়। রায়নের মা পূজা রাম বলেন, আমার ছেলেকে দু’টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তারপর আসার সময় ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক এএনএম ফের ডেকে ছেলেকে জোর করে আরও একটি ভ্যাকসিন দেন। ওই দিন থেকেই আমার ছেলে ক্রমশ অসুস্থ হতে শুরু করে। রায়নের জেঠু গৌতম রাম বলেন, বুধবার অসুস্থতা বাড়লে আমরা রায়নকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই রাত সাড়ে ১১টার সময় ভাইপো মারা যায়। পূজাদেবী বলেন, আমার ছেলেকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলেই সে মারা গিয়েছে।
এদিন সকালে মৃত শিশুটিকে নিয়ে শ্মশানে যাওয়া হয়। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা শিশুটিকে সমাধিস্থ করতে দেননি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রায়ই ভুল চিকিৎসা করা হয়। এর আগেও ভুল চিকিৎসায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিন বাসিন্দা ও মৃত শিশুর বাড়ির লোকজন দেহ নিয়ে প্রথমে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে বৈকুণ্ঠপুর বাসস্টপ। স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে মৃত শিশুর দেহ নিয়ে পথ অবরোধে শামিল হন। পরে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণে মৃত্যু হওয়ার কথা নয়।