অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বিরোধীদের বিরুদ্ধে যেমন তোপ দেগেছেন, তেমনই আন্দোলনকারীদেরও সতর্ক করে দিয়েছেন। মন্ত্রীর কথায়, অনেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করছেন। রাজনৈতিক নেতা থেকে বিশিষ্টরা যাচ্ছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেউ তো ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ নিয়ে কিছু বলছেন না! সংসদে বিরোধীরা অনেক কথা বলছেন। এত কথা বলার তো দরকার নেই। আপনারা টাকা নিয়ে আসুন না। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থই আমাদের কাছে বড় কথা। তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তারপরও শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কোর্ট কি বলেছে ক্লাস করতে হবে না? পার্শ্বশিক্ষকদের অভিযোগ, কেন্দ্র টাকা দিয়েছে, কিন্তু রাজ্য তা দিচ্ছে না। এ নিয়েও জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, তথ্যপ্রমাণ সহ আমাদের দেখানো হোক। রাজ্য সরকার এখনও কেন্দ্রের কাছে ১৭ হাজার কোটি টাকা পাবে। পার্শ্বশিক্ষকদের প্রতি মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, সব রিপোর্ট আমাদের কাছে এসে গিয়েছে। আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনটা আর করতে দেওয়া হবে না। তাই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে আমাদের বক্তব্য, নিজেদের শরীরকে আর অসুস্থ করবেন না।
শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাইছেন না আন্দোলনকারীরা। পার্শ্বশিক্ষকদের ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রী প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের রিপোর্ট জানেন না, তা দুর্ভাগ্যের। মন্ত্রী না জেনেই কথা বলছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রায় এক মাস হতে চলা আন্দোলন নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটবে কবে? এই প্রশ্নে অবশ্য স্পষ্ট কোনও জবাব দেননি পার্থবাবু। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, এটা কারখানা নয়। শিক্ষক আন্দোলনে শ্রমিক সংগঠন ঢুকে পড়ছে। তবে এই শিক্ষকদের প্রতি যে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সরকার, তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মন্ত্রী।