অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে বলে এদিন কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়েই চাপিয়েছেন তিনি। মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির জন্য কেন্দ্রকে দায় নিতে হবে বলে তিনি তোপ দাগেন। মমতা বলেন, সারা দেশেই শিল্পে একটা অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা। জিডিপি’র হার ক্রমে কমছে। শিল্প নেই। কর্মসংস্থান নেই। বেকারত্ব বাড়ছে। গোটা দেশে যখন বেকার বাড়ছে, তখন আমাদের আমলে বাংলায় কিন্তু ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।
শিল্পপতিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গোটা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শিল্পপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন এজেন্সিকে দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। অনেক শিল্পপতি দেশ থেকে এনআরআই হয়ে চলে যাচ্ছেন। রাহুল বাজাজের ‘গাটস’ আছে, তাই তিনি সঠিক কথা বলতে পেরেছেন। তবে বিরুদ্ধে বললেই ‘আন্ডার স্ক্যানারে’ চলে যেতে হয়, যেমন আমি আছি। দেশের অর্থনীতি যে ভেঙে পড়েছে, সেদিকে কেন্দ্রের নজর নেই। ব্যাঙ্ক কী করবে, তা নিয়ে জনমানসে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কেউ ভরসা রাখতে পারছেন না। টাকা তোলার অঙ্ক বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এমনটা আগে কখনও দেখিনি। বাড়িতে টাকা রাখলে নোটবন্দি আর ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে লুটবন্দি হচ্ছে। গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে সরকার চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। কেন্দ্র শুধু ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি’ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভাজনের রাজনীতি করছে। আমরা কিন্তু দেশের ঐক্য ও সংহতির জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
নিজের রাজ্যের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দারিদ্র দূরীকরণে আমরা দেশের মধ্যে এক নম্বর। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আমরা এক নম্বর। এই ক্ষেত্রে ৯০ লক্ষ ইউনিট আছে। ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ কাজ করছে। মেধায় আমরা এক নম্বরে আছি। আমাদের এখানে বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। জমির কোনও অভাব নেই। হোটেল ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় বড় বিনিয়োগ আসছে রাজ্যে। গত দু’বছরে ২৯টি বড় হোটেল কোম্পানি বাংলায় বিনিয়োগ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ক্ষেত্রেও রাজ্যের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
অতীতে বাংলায় শিল্প সম্ভাবনার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে ট্রেড ইউনিয়নের ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকেই দায়ী করা হতো। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, বাংলায় তিনি নেতিবাচক রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছেন। এখানে নতুন শিল্প গড়ার পরিবেশ রয়েছে। আমাদের জমি তৈরি। নির্দ্বিধায় বিনিয়োগ করুন। পর্যটনশিল্প বাংলায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।