নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনেক হয়েছে। এবার সরকারকে কঠোর হতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলতে দেব না।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজ্য বিধানসভা। ফের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হল সরকারিভাবে অভ্যর্থনা না পাওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার তাঁর বিধানসভা ভবন পরিদর্শন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের সম্ভাবনা আগেই তৈরি হয়েছিল।
অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। আজ বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়েই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল। কিন্তু ঢুকতে গিয়েই দেখেন গেট বন্ধ। সমস্যার সূত্রপাত সেখান থেকেই। এর আগে বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পদাধিকারীই তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিধানসভা পরিদর্শনে আসার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু এখানেও সেই একই চিত্র। যেন গতকালের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল। কিন্তু অধিবেশন না থাকায় বন্ধ ছিল বিধানসভার অধিকাংশ দরজা। রাজ্যপালের প্রবেশের জন্য যে বিশেষ গেট রয়েছে, সেটিও বন্ধ ছিল। নিয়ম অনুযায়ী অধিবেশন ছাড়া রাজ্যপাল বিধানসভায় এলে তিন নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার এসে দেখেন বন্ধ রয়েছে সেই গেট। এতেই মারাত্মক চটে যান তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমি কি এবার ' দিদি কে বলো' তে বলব? আজ আমাকে নয় গণতন্ত্রকে তথা রাজ্যের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। যদি কোন চক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে সেই চক্রান্ত আমি ভেঙে দেব। আজকের এই ঘটনা নিয়ে আমি অধ্যক্ষকেও চিঠি লিখব। পাশাপাশি বিধানসভার গেট কেন বন্ধ রয়েছে সেই বিষয়েও জানতে চান তিনি। ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল বলেন, বিধানসভায় সচিবালয় সারা বছর খোলা থাকার কথা। রাজভবনও রবিবার খোলা থাকে। রাজভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, বিধানসভা তো সাধারণ মানুষও দেখতে আসেন। তবে বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, তিনি যখন বিধানসভা পরিদর্শনে আসেন সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে স্বাগত জানানোর জন্য কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্যপাল বলেন, আমি রাজ্যের সব প্রান্তে যাব। বুলবুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেও যাব। পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনেও যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। লিঞ্চিং বিল ইস্যুতে ওঠা প্রশ্নে তিনি বলেন বিরোধী পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। তবে যে বিল আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল তা সভায় প্রকাশই করা হয়নি। এরপর সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি বেরিয়ে যান। এদিন বিধানসভা পরিদর্শনের পরই বিরোধী দলনেতার সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল।
