শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
বিগ্রহ বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম বড় গোস্বামী বাড়ির রাস উৎসব। কথিত আছে, শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির একটা অংশের পুরুষরা প্রায় ৩৫০ বছর আগে রাস পূর্ণিমার তিথিতে রাধারমনের মূর্তির পাশে রাধিকা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাস পূর্ণিমার সময় ওই রাধাকৃষ্ণের মূর্তির যুগল মিলন ঘটেছিল। সেই থেকেই শান্তিপুরে রাস উৎসবের সূচনা হয়েছিল। তারপর শান্তিপুরের খাঁ চৌধুরী বাড়ির উদ্যোগে রাধাকৃষ্ণের নগর পরিক্রমা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই প্রথম নগর পরিক্রমা শুরু হয়ে শান্তিপুর শহরে। এই নগর পরিক্রমা করার ঘটনা শান্তিপুরের ভাঙা রাসের শোভাযাত্রা নামে পরিচিত হয়।
মঠবাড়িয়া রাস উৎসবে বিশেষত্ব বৈদ্যুতিক আলো বা সরঞ্জাম ব্যবহার না করা। বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার না করে এখানকার মন্দির মায়াবি আলোতে সাজানো হয়। এখানকার ৩৫০ বছরের পুরনো রাস মঞ্চ থেকে মন্দির পুরোটাই মোমবাতি, বেলজিয়াম গ্লাসের ফানুস ও ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো হয় বলে জানান মঠবাড়ির সদস্য সুশান্ত মঠ।
শান্তিপুরের পটেশ্বরীতলায় যশোদা নন্দন প্রামাণিক স্ট্রিটে দিন দয়াল প্রামাণিকের বাড়ির প্রায় ২০০ বছরের পুরনো রাসে বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার করা হয় না। তার পরিবর্তে মোমবাতির আলো ব্যবহার করা হয়। বীর আশানন্দ প্রতিষ্ঠিত রাধাবল্লব জিউর বংশে এখন কেউ নেই। তার কারণে এই বিগ্রহ বাড়ির পুজো এখন বারোয়ারিভাবে হয়।