Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

আমরা সবাই তো আর সকাল বিকেল পড়াশোনা করি না। তাই জেইই মেনস খায় না মাথায় দেয় সেটা প্রথমে একটু বুঝে নিলে আলোচনাটা এগনো সহজ হবে। দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করার জন্যে এই পরীক্ষা। আমাদের দেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এখনও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বেশি শ্রদ্ধা করা হয়। কয়েকটি মাত্র ভালো বেসরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এদেশে, বাকি বেশিরভাগেরই অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাই সব থেকে বেশি লড়াই সরকারি কলেজে জায়গা পাওয়ার জন্যে। কেমন সেই লড়াই? দশ থেকে পনেরো লক্ষের মধ্যে লড়াই করে প্রথম তিরিশ হাজার জনের তালিকায় স্থান পেলে তবেই সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ থাকে। আমাদের রাজ্যে এই ধরনের জায়গা শিবপুরের আইআইইএসটি (ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি) আর দুর্গাপুরের এনআইটি। সারা দেশে এরকম বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্যে যে পরীক্ষা, তার নাম জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বা ইংরেজিতে প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে জেইই। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের একটা আলাদা জয়েন্ট এন্ট্রান্স আছে, তবে সেটা যাদবপুর, কল্যাণী, উত্তরবঙ্গ—এরকম কয়েকটি জায়গায় পড়ার জন্য। এবার বোঝা যাক কেন এই সর্বভারতীয় পরীক্ষার নাম জেইই মেনস। তার কারণ এই পরীক্ষা থেকে প্রথম দু’লক্ষের মতো সফল প্রার্থীকে নিয়ে আর একটি পরীক্ষায় বসানো হয়, যার নাম জেইই অ্যাডভান্সড। সেখান থেকে বানানো হয় দেশের বিভিন্ন আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি)-তে ভর্তির তালিকা। আমাদের রাজ্যে যেমন খড়গপুর আইআইটি-র কথা অনেকেই জানেন। এখানে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র। নামকরা আইআইটিগুলোতে সুযোগ পেতে গেলে হাজার দুইয়ের মধ্যে থাকতে হয়, আর দেশে নতুন তৈরি হওয়া জায়গাগুলোকে ধরলেও (যেমন আইআইটি জম্মু) হাজার দশের মধ্যে থাকতে পারলে তবেই কিছুটা সুযোগ থাকে। এইসব প্রবেশিকায় প্রতিযোগিতার তীব্রতা নিয়ে এখানে আর বেশি লিখছি না, তার সঙ্গে আছে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা। ষোল থেকে আঠারো বছর বয়সি উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান পড়ুয়াদের যে কী সাংঘাতিক বিপদের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন।
সাম্প্রতিক যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা হল এই পরীক্ষার ভাষা নিয়ে। অর্থাৎ প্রশ্ন কোন ভাষায় হবে? এই পরীক্ষাগুলোর উত্তর সাধারণভাবে লিখতে হয় না, চারটে বিকল্পের মধ্যে টিক মেরে নিজের মত জানাতে হয়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে শুধু একটি দুটি শব্দে উত্তর লিখতে হবে। আর মোটের উপর এখন সব পরীক্ষাই কম্পিউটারে, আর তাই ইংরেজিতে বোতাম টেপাই দস্তুর। মূল গোলমাল প্রশ্নের ভাষা নিয়ে। আগে সাধারণভাবে ইংরেজি আর হিন্দিতে প্রশ্ন করা হতো। যারা আজকাল এই ধরনের পরীক্ষার প্রশ্ন বানান, অর্থাৎ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ), তাঁরা এবার গুজরাতিতেও প্রশ্ন বানাচ্ছেন। এখানেই চটে গেছেন আমাদের রাজ্যের শাসক দল। গুজরাতে বিজেপির দাপট বেশি। সেই হিসেবে তৃণমূলের বক্তব্য যে, সেই ভাষায় প্রশ্ন হলে বাংলায় নয় কেন? আর বিজেপি বলছে যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্য সরকার আদৌ কোন উদ্যোগ নেয় নি। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনআইটি দাবি করেছে যে যেকোনও রাজ্য সরকার তাদের কাছে বিশেষ ভাষায় প্রশ্নপত্র বানাতে বললে তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। গুজরাত সময়মত তাদের দাবি তুলেছিল, আর অন্য কোন রাজ্য কিছুই জানায় নি। গুজরাত সরকারের দাবি মেনে নিয়ে এবার তাই প্রশ্ন হবে গুজরাতিতে, ইংরেজি আর হিন্দি ছাড়াও। বিষয়টা এখন পড়াশোনার বাইরে বেরিয়ে পুরোপুরি রাজনীতির আঙিনায় পৌঁছে গেছে।
পড়াশোনা যে সবাইকেই করতে হবে এমনটা নয়। মেসি কিংবা রোনাল্ডো কলনবিদ্যার অঙ্ক কষতে পারেন কিনা তাই দিয়ে তাঁদের বিচার হয় না। তাঁদের ক্ষেত্রে তাঁরা মহান। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রেও সেকথা প্রযোজ্য। অসাধারণ ব্যুৎপত্তির সঙ্গে তাঁরা ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধরে রেখেছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদদের প্রিয়জনেরাও বলবেন না তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পড়াশোনায় ভালো। অবশ্যই আমাদের রাজ্যে এবং দেশে উচ্চশিক্ষিত রাজনীতিবিদ কয়েকজন আছেন, তবে তার বাইরে বেশিভাগেরই মাধ্যমিকের অঙ্ক কষতে গেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ঠিক যেমন অঙ্কের গবেষক রাগবি খেলতে গেলে হাড়গোড় ভাঙার সম্ভাবনা প্রবল। অর্থাৎ যার কাজ তারই করা সাজে। এবার এই ভাষা বিতর্কে পাড়ায় পাড়ায় যদি মিটিং মিছিল শুরু হয়, সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উপর তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। দেশ বা রাজ্যে যে সমস্ত বিপুল অর্থনৈতিক দুর্নীতি হয়ে থাকে তাতে একটা বড় অবদান থাকে রাজনীতিবিদদের। রাজনীতির বড় মাপের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকেরা, আর রাজনৈতিক কর্মীরা হয়ে যান অর্থসংগ্রহের এজেন্ট। তাঁরাই জনগণকে বোঝান যে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসে টাকা না রেখে বেসরকারি ব্যাঙ্ক বা শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটাও। সাময়িকভাবে কিছু কাজের ক্ষেত্র হয়তো তৈরি হয়, কিন্তু শেষমেশ আমজনতা বিপদে পড়ে। ঠিক একই কথা সত্যি জেইই মেনস দিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের। পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। তাঁরা ইংরেজিতে প্রশ্ন পড়েই পরীক্ষা দেন, এ রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইংরেজিতে বিজ্ঞান বোঝার মত পরিকাঠামো আছে, আর যাঁরা এই ধরনে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সত্যি সফল হন তাঁদের ইংরেজিতে প্রশ্ন বুঝতে এতটুকু অসুবিধে হয় না।
আসলে বিজ্ঞানের কোনও ভাষা নেই। পুরোটাই যুক্তির খেলা। বিজ্ঞান বা অঙ্ক যেখানে যুক্তি দিয়ে কোনও কিছুর সমাধান করতে পারে না, সেখানে সে নিজের অসম্পূর্ণতার কথা স্বীকার করে নেয়। যুগে যুগে বিবর্তিত হয় বিজ্ঞান। গে লুসাকের পরমাণু সংক্রান্ত তত্ত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ডালটন। আবার তার পরে ডালটনের পরমাণুবাদ ভুল প্রমাণিত হয় অ্যাভোগ্রাডোর তত্ত্বের মাধ্যমে। সময়ের সঙ্গে বিজ্ঞান উন্নততর হয়, মানুষ শেখেন সঠিক উত্তর। ধর্ম আর রাজনীতি সেখানে পুরো চড়াই উৎরাইয়ের রাস্তায় চলে। সেখানে আজ যেটা সত্যি তা পরের মূহূর্তেই মিথ্যে হয়ে যায়। বিজ্ঞানের নাম করে মাটির তলায় মন্দির ছিল নাকি বৌদ্ধিক স্তূপ, তাই নিয়ে অগভীর বিশ্লেষণ ডানা মেলে। গ্যালিলিওকে থামিয়ে রাখা হয় ধমকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাম আমলে ঘোষিত হয় “মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান, কারণ এটাই সত্য”। এটা যে চরম সত্য নয় সেকথা মার্কস সাহেবই বলে গিয়েছিলেন, বাংলার বাম বুঝলো উল্টো। ঠিক সেই রকমই ধর্ম, রাজনীতি এবং ভাষার সরবত বানানো নিয়ে রাজ্যে লড়াই করছে বিজেপি আর তৃণমূল। কেন্দ্রীয় পরিসরে কংগ্রেস ধান্দা করছে কীভাবে নরম হিন্দুত্বের কথা বলে দুদিকই সামলানো যায়। মুশকিল হল রাজনীতির কারবারিরা সবসময় দাবি করেন যে তাঁরা সত্যি কথা বলছেন। এইখানেই সবথেকে বড় মিথ্যে। ঠিক সেইরকমই গুজরাতি বা বাংলায় প্রযুক্তিবিদ্যার প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিতে পরীক্ষার্থীদের কোনও সুবিধে নেই। পুরোটাই আপাতত বিজেপি আর তৃণমূলের ভাষাভিত্তিক লড়াই। এখানে বিজ্ঞানের ভাষা বিপর্যয়ের প্রশ্নই নেই। শুধু বাংলায় কেন, গুজরাতের পরীক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে যে বিজ্ঞানের বেশিরভাগ ভালো বই-ই ইংরেজিতে লেখা। সেগুলো মন দিয়ে পড়লে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি। আর কয়েকমাসের মধ্যেই জেইই মেনস। এই সময় ছাত্রছাত্রীদের চিত্তবিক্ষিপ্ত না হওয়াই ভালো।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, রাজনীতিতে যে শিক্ষিত মানুষজন আছেন তাঁদের তো আর সোনা মেশানো দুধ গণেশকে খাইয়ে দিন চলবে না। তাঁরা দায়িত্ব নিন সারা দেশে যেন ভালো করে ইংরেজি পড়ানো হয়। তাতেই নেওয়া হোক উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞানের সব পরীক্ষা। অঙ্কে অসমীকরণের সমাধান করতে কয়েকটা চিহ্ন লাগে মাত্র। সেখানে অজানা চলরাশি ইংরেজির এক্স ধরা হয়, বাংলার ক-এ মধ্যন্য-শয়ে ক্ষিও নয়। যেভাবে বিজ্ঞান এগিয়েছে তাকে বাম কিংবা দক্ষিণপন্থার সমাজনীতি, কিংবা ভাষার সুড়সুড়ি দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। বাংলা ভাষা নিয়ে রাজ্যের রাজনীতিবিদদের বেশি না ভাবাই মঙ্গল। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের আত্মা ভয় পেয়ে বাংলা ছেড়ে অযোধ্যার রামমন্দিরের তলায় গিয়ে সেঁধোবে। উপসংহারে সারা দেশের সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা, আর অনুসিদ্ধান্ত হল আমাদের দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে ইঁরেজিতে বিজ্ঞান শেখাটাই সাফল্যের এক প্রাথমিক ধাপ। জেইই মেনসে আর সব ভাষায় প্রশ্ন করা বন্ধ করে শুধু রাখা হোক ইংরেজি। দু-একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ দিতে গেলে শুধু তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া, অসমীয়া নয়, কোনও এক দিন অলচিকি-তেও জেইই মেনসের প্রশ্ন করার দাবি উঠবে!
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত
13th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। বিশদ

10th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
বিশ্বজিৎ মাইতি, বারাসত, বিএনএ: গ্রামীণ ডাক সেবকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য এবার শিক্ষা ভাতা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি জেলার পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্টদের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকার সঙ্গে এই ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদনের ফর্ম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই ...

ইসলামাবাদ, ১৩ নভেম্বর (পিটিআই): ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মুখ পুড়েছিল পাকিস্তানের। রুলভূষণ যাদবের ফাঁসির সাজা স্থগিত রাখতে হয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর ভারতের দাবি মেনে সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কুলভূষণের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগের সুযোগও দিতে হয়েছে ইসলামাবাদকে।   ...

ইন্দোর, ১৩ নভেম্বর: ৩২টি টেস্ট খেলে ২৬টি’তে জয়। পাঁচটি ড্র। একটিতে হার। ২০১৩ সাল থেকে ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে ‘টিম ইন্ডিয়া’র সাফল্যের এই পরিসংখ্যানই ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বুলবুলের কারণে হাওড়া জেলায় ৮৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর থেকে নবান্নে যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মূলত আমতা ১ ও ২, শ্যামপুর ১ ও ২, বাগনান ১ ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৩ টাকা ৭৩.২৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.০১ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.১৫ টাকা ৮০.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ কার্তিক ১৪২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩৫/৭ রাত্রি ৭/৫৫। রোহিণী ৪২/১৮ রাত্রি ১০/৪৭। সূ উ ৫/৫২/৭, অ ৪/৪৯/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৬ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৭ কার্তিক ১৪২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৪২/৫২ রাত্রি ৭/৪৬/৩৬। রোহিণী ৪৪/২/৫২ রাত্রি ১১/৩০/৩৬, সূ উ ৫/৫৩/২৭, অ ৪/৫০/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩০ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ৩/২৫ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ৩/২৮/২০ গতে ৪/৫০/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/৬/১২ গতে ৩/২৮/২০ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২১/৫৭ গতে ১২/৫৯/৫০ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। বৃষ: প্রেমে সাফল্য। মিথুন: কর্মক্ষেত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস১৮৮৯: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্ম ও শিশুদিবস১৯৭১: অস্ট্রেলিয়ার ...বিশদ

07:03:20 PM

  এবার রাজভবনেও হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ
এবার রাজভবনেও তৈরি হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। ১০২ জন ...বিশদ

06:07:00 PM

রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
নির্দিষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কথায় চলছেন রাজ্যপাল। আজ এভাবেই রাজ্যপালের ...বিশদ

05:59:00 PM

হেলিকপ্টার না পাওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি রাজভবনের
আগামীকাল শুক্রবার স্থলপথেই ৬০০ কিমি যাত্রা করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ...বিশদ

05:48:00 PM

প্রথম টেস্ট: প্রথম দিনের শেষে ভারত ৮৬/১ 

05:07:03 PM