শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
যে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী এসেছে তারমধ্যে দুই কোম্পানি করিমপুর থানায় রয়েছে। অন্যদিকে, থানারপাড়া, মুরুটিয়া, হোগলবেড়িয়ায় এক কোম্পানি করে মোট তিন কোম্পানি বাহিনী দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিসের পদস্থ আধিকারিক বা থানার আইসি-ওসিদের নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও সব বুথে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে বলে জেলা পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, বাহিনী এসে পৌঁছেছে। রুট মার্চও বিভিন্ন এলাকায় চলছে। উত্তেজনা প্রবণ এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কমিশনের নির্দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য সব ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিসের এক পদস্থ কর্তা বলেন, এলাকা ভিত্তিক বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
জেলা পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে বলে বিরোধীদের তোলা দাবি সম্পূর্ণ মান্যতা পাবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। পুলিসের ওই কর্তা বলেন, কত শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে, তার একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। তবে এখনও সেই নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী বা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সংখ্যার হেরফেরও হতে পারে।
পুলিসের ওই কর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কিছু বুথের দায়িত্বে থাকবেন। বাকি বুথে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিস। সাধারণত কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসেবে থাকে বিএসএফ, সিআরপি, সিআইএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি’র মতো ফোর্স। ভিন রাজ্যের পুলিসকেও কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এখনও অবধি সিআইএসএফ এসেছে করিমপুর কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট, একজন ইন্সপেক্টর, ন’জন এসআই বা এএসআই এবং ৮১ জন কনস্টেবল বা জওয়ানকে নিয়ে এক কোম্পানি বলা হয়। কিন্তু ভোটে ইন্সপেক্টরদের নিয়োগ করা হয় না। সাধারণত, কোনও কোনও ক্ষেত্রে আটজন জওয়ানকে নিয়ে হয় এক সেকশন। আট সেকশন অর্থাৎ ৬৪ জন একটি কোম্পানিতে থাকে। আবার কোনও কোনও জেলায় নয় সেকশনে আটজনকে নিয়ে এক কোম্পানিতে ৭২ জন জওয়ান থাকে। করিমপুরের ক্ষেত্রে ৭২ জনকে নিয়েই এক একটি কোম্পানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিসের ওই কর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে নদীয়া জেলায় এবার বাহিনী কিছুটা বাড়তে পারে। তবে সবকিছু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
এছাড়া, এবার স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও ওয়েবকাস্টিং করার ব্যবস্থা থাকবে। যার মাধ্যমে কলকাতা ও দিল্লিতে বসে কমিশনের কর্তারা সেই বুথের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন। তাছাড়াও সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফি, মাইক্রো অবজার্ভার দিয়ে সব বুথ কভার করা হবে। উল্লেখ্য, করিমপুর বিধানসভায় ২৬১টি বুথ রয়েছে। সেক্টর রয়েছে ২২টি। ভোটার সংখ্যা ২,৪০,৪২৮। রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তাপস মোহান্তি। ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন পুলিস অবজার্ভারও। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আগে তাঁর মতামতও গুরুত্ব দিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ১২টি টিম ইতিমধ্যেই করিমপুরের ময়দানে নেমে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বিজেপির নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, আমরা ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছি। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোট সম্ভব নয়। আশা করি, কমিশন আমাদের এই দাবিকে মান্যতা দেবে। তৃণমূলের যদিও পাল্টা কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন, দেশের বাইরে থেকেও ওরা সেনা নিয়ে আসুক। তবুও খুব একটা লাভ হবে না। মানুষ ওদের বিভাজনের রাজনীতির যোগ্য জবাব দেবে।