শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরে এই সমিতির অধীনে ৬০টি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সকলেই অভিনব এই উদ্যোগে শামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ জুগনুতলায় একটি স্কুলে ও বৃদ্ধাশ্রমে প্রথমে মিষ্টি বিতরণ করা হবে। এরপরই ব্যবসায়ীরা পঞ্চুর চকের কাছে কলেজ ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে মিষ্টি খাওয়াবেন। দুপুর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। পরে, বিকালের দিকে আলআইসি মোড়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্যবসায়ীরা মিষ্টি বিতরণ শুরু করবেন। এমনিতেই সারাদিনই এলআইসি মোড় সহ আশপাশের এলাকা লোকজনের ভিড়ে গমগম করে। আর বিকেলের দিকে তো শহরে ভিড় লেগেই থাকে। সেখানে ব্যবসায়ীরা মিষ্টি বিতরণ করার পর স্টেশন রোড বিধাননগরেও এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এই এলাকাটি জনবহুল। সেখানেও ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েকশো রসগোল্লা বিলি করা হবে। এমনিতেই শহরের গোলকুঁয়াচকে সমিতির যাবতীয় কাজকর্ম হয়। সেখানে ব্যবসায়ীরা জাঁকজমক করে গণেশ পুজোও করেন। স্টেশন রোডের পর ওই জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব শেষে ভীমতলা চকে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির মেদিনীপুর শাখার সম্পাদক সুকুমার দে বলেন, দু’বছর আগে বাংলার রসগোল্লা জিআই লাভ করেছিল। ওড়িশা তা মানতে চায়নি। ওরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও লাভ হয়নি। শেষে বাংলার জয় হয়। দু’বছর আগে আমরা রসগোল্লার স্বীকৃতি পেলেও আসলে ওড়িশার আদালতে মামলার কারণে বিষয়টি ঝুলেছিল। বাংলার রসগোল্লার স্বীকৃতি পাওয়ার দিনটিকে আমরা ‘রসগোল্লা দিবস’ হিসেবে পালন করতে চাই। ১৪ নভেম্বর আবার শিশুদিবস। তাই সকালে আমরা বৃদ্ধাশ্রম আর শিশুদের মধ্যে প্রথমে মিষ্টি বিলি করব। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার মিষ্টি বিলির টার্গেট নিয়েছি। সেই মতো বুধবার বিকেল থেকে মিষ্টি তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে। রসগোল্লার মাপ কেমন হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা ৮ টাকার একটি রসগোল্লা তৈরি করি। সেটিই জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ওই মাপেই সব মিষ্টি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।