শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
ছত্তিশগড়ে কর্মরত জিতেন্দ্র। বাড়ি রাজস্থানে। গত শনিবার ছিল জিতেন্দ্রর বিয়ে। জয়পুরের বাসিন্দা চঞ্চল শেখাওয়াতের সঙ্গে তাঁর বিয়ের আয়োজনও সম্পূর্ণ। শহরের অভিজাত আম্বাবাড়ি এলাকায় বসেছে বিবাহ বাসর। সেখানে জিতেন্দ্রর এই ‘কাণ্ড’ দেখে হতভম্ব হয়ে যান আমন্ত্রিত অতিথিরা। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান কনের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনও। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন ‘অপমান’ করতেই পণের টাকা প্রত্যাখান করেছেন পাত্র। তা নিয়ে বিয়ে প্রায় ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার জোগাড়! শেষে হাল ধরেন জিতেন্দ্র নিজেই। কনেপক্ষকে তিনি বুঝিয়ে বলেন, ‘এখানে অপমানের কোনও প্রশ্নই নেই। এটা আমার পণ না নেওয়ার পণ। ছোটবেলা থেকে এই ‘পণ’ নিয়ে বড় হয়েছি। আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসতে গিয়ে সেই প্রতিজ্ঞা পালন করে আমি গর্বিত। তা ছাড়া আমার হবু স্ত্রী এলএলবি পাস। সাফল্যের সঙ্গে এলএলএমও পাস করেছেন। পিএইচডি করছেন। তাঁর এই শিক্ষার কাছে যৌতুকের মূল্য অতি নগণ্য। আমার কাছে আমার স্ত্রীর শিক্ষাই বড়।’
জিতেন্দ্রর কাছে এমন কথা শুনে কেঁদেই ফেলেছিলেন কনের বাবা গোবিন্দ সিং শেখওয়াত। পরে তাঁর সামান্য প্রতিক্রিয়া, ‘আজকের দিনে এমন ছেলে যে পাওয়া যায়, তা ভাবতেই পারছি না! প্রথমে ভেবেছিলাম পাত্রপক্ষ আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা দাবি করছেন। অথবা, তাঁরা আমাদের এই সামান্য আয়োজনে খুশি নন। এ নিয়ে প্রচণ্ড অপমানিত বোধ করি। কিন্তু ও (জিতেন্দ্র) যখন সবকিছু বুঝিয়ে বলল, তখন নিজেকে আর সামলে রাখতে পারিনি।’ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র বলেছেন, ‘পণপ্রথার বিরুদ্ধে এভাবেই সবার এগিয়ে আসা উচিত। যৌতুকের চেয়ে কনের শিক্ষাকে মর্যাদা দেওয়াই হোক যুব সমাজের কাছে ‘ধনুকভাঙা পণ’। তবেই পণপ্রথার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে আমাদের সমাজ। আমার স্ত্রী চঞ্চলের শিক্ষাই আমার পরিবারের কাছে সবচেয়ে বড় যৌতুক।’