শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
হাওড়ার অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ প্রধান বলেছেন, আমরা যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়েছি, তাতে প্রায় ৮৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও সমীক্ষার কাজ চলছে। তারপরই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। কৃষি দপ্তরের অফিসাররা জানিয়েছেন, হাওড়ায় অধিকাংশ চাষিরই শস্যবিমা করা হয়েছে। তাঁরা বিমার টাকা পাবেন। কিন্তু, যাঁদের শস্যবিমা করা নেই, তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন।
এবার অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অতিবৃষ্টি ও ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে আমতা-২ ও উদয়নারায়ণপুর ব্লকে আমন ধানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষত সামলাতে না সামলাতেই ফের বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতা-২ ও উদয়নারায়ণপুর ব্লকে ১০০ শতাংশ ক্ষতির পরিমাণ বেশি। অন্যান্য ব্লকেও ৫০ শতাংশের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর কিছুদিন পর থেকে ধান কাটার সময় শুরু হত। তার আগে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ধানগাছগুলি পুরো নুয়ে পড়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ধান চাষে ৫৮ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ২৪ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার সবজি এবং পান বরজ ও ফুল চাষ মিলিয়ে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্যায় আমতা ও উদয়নারায়ণপুর ব্লকেই ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু, বুলবুলের প্রভাবে অন্যান্য ব্লকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের শস্যবিমার টাকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার জন্য সমীক্ষার কাজ চলছে। রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের শস্যবিমার টাকা দেওয়া হবে। তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুলবুলের প্রভাবেও যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরাও পাবেন। তবে এটা কৃষি দপ্তর ঠিক করে। কৃষি দপ্তরই বিমার টাকা দেয়। শুধু সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, চাষিদের প্রশ্ন, ধান তোলার পরই ওই জমিতে আলু চাষ হয়। মূলত আমতা ও উদয়নারায়ণপুর ব্লকে বেশি আলু চাষ হয়। শস্যবিমার টাকা পেতে দেরি হলে আলু চাষের সময় চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। তাঁরা চাষের টাকা জোগাড় করবেন কী করে? যদিও সমবায় দপ্তরের কর্তারা বলেছেন, কৃষকদের কৃষি ঋণ সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সেখানে সহজ সুদে কৃষকরা ঋণ পাবেন। চাষিদের ৯ শতাংশ হারে কৃষিঋণ দেওয়া হয়। সেই টাকা শোধ করার পর কৃষকদের ৭ শতাংশ সুদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।