শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
বাম আমলের গোড়ায় বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিল অপ্রচলিত ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিভাগটিও। পরে কাজের সুবিধার জন্য তারা দুটি বিভাগই একই দপ্তরের অধীনে নিয়ে আসে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বেশ কিছুদিন সেই ব্যবস্থা বলবৎ থাকলেও কয়েকদিন আগে নবান্ন ফের দুটি বিভাগকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। একইভাবে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের ক্ষেত্রেও তারা এই ধরনের পদক্ষেপ করে। এই দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত পাবলিক এন্টারপ্রাইজ ও শিল্প পুনর্গঠন বিভাগটিকে পৃথক করার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। মূল দুটি দপ্তরকে এভাবে মোট চারটি দপ্তরে ভাগ করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোর জন্য নির্দিষ্ট বিধিতেও সংশোধন আনে তারা। সেই সংশোধনী অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। এদিন সেই ফাইলেই সাক্ষর করেন ধনকার।
এদিকে, এদিনই গ্রিনফিল্ড ইউনিভার্সিটি (সংশোধনী) বিলেও সবুজ সঙ্কেত দেন রাজ্যপাল। পাহাড়ের মানুষের আবেগ ও দাবিকে মর্যাদা দিতে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম গ্রিনফিল্ড-এর বদলে দার্জিলিং করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। বিধানসভার গত অধিবেশনে এব্যাপারে সংশোধনী বিল পাশ হয়। ওই বিলেই এদিন সম্মতি দেন তিনি। যদিও সেই সময় বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, পাহাড়ের মানুষের আবেগকে প্রকৃত স্বীকৃতি দিতে গোর্খা কবি ভানুভক্তের নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হোক। তবে তাদের সেই দাবিকে শাসকপক্ষ সেই সময় আমল দেয়নি। ওই অধিবেশনেই বিস্তর বিতর্কের পর পাশ হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টাফ সিলেকশন কমিশন (রিপিলিং) (রিপিলিং) বিল। সরকারের গ্রুপ সি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য রাজ্যে দীর্ঘকাল ধরে চালু থাকা এই কমিশন তুলে দেয় তৃণমূল প্রশাসন। দু’বছর আগে সেজন্য তারা মূল আইনটি বাতিল করে দেয় একটি রিপিলিং বিল এনে। কিন্তু এখন মত বদলে সরকার আবার সেই কমিশনকে পুনরুজ্জীবিত করতে চায় কর্মী নিয়োগের ঝক্কি সামলাতে। সেই কারণে বাতিল আইনকে নতুন করে সজীব করতে এই বিলটি পাশ করানো হয় বিধানসভায়। যদিও তা নিয়ে অধিবেশনে প্রবল তর্ক-বিতর্ক হয় সেই সময়। সরকার অবশ্য আইন বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করে বিলটি পাশ করাতে সমর্থ হয়। এবার তাতে রাজ্যপাল সিলমোহর দেওয়ায় কমিশনের পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পেতে চলেছে।