শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
নবদ্বীপ পুর এলাকায় ৪০০ বেশি পুজো হলেও প্রশাসনের অনুমোদিত পুজোর সংখ্যা ২১৭টি। বুধবার নবদ্বীপের রাসের আড়ংয়ে অনুমোদনপ্রাপ্ত ২০৪টি পুজোর প্রতিমা অংশ নেয়। তারসঙ্গে অনুমোদনবিহীন কয়েকটি পুজোর প্রতিমাও ছিল। সকালে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে কোনও বারোয়ারি বাদ্যযন্ত্র, ট্যাবলো সহযোগে ঘট বিসর্জন করেননি।
সকাল ৮টার সময় বাদ্যযন্ত্র সহযোগে বড় ঠাকরুন নামে খ্যাত পোড়ামাতলার কংসবণিক কালীমাতার শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর বেলা ১১টার সময় হরিসভা পাড়ার ভদ্রাকালীর শোভাযাত্রা বের হয়। সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র সহ সাঁওতালি নৃত্য পরিবেষ্টিত হয়ে কলেজের কাছে পাকাটোল রোডের সিংহবাহিনী, চারিচারাপাড়া বাজারের ভদ্রাকালী, বেনেপাড়া মোড়ের শ্রীশ্রী বিশ্বজননী মাতার শোভাযাত্রা যায়। বেলা একটার সময় যোগনাথতলাপুজো মণ্ডপ থেকে বেহারার কাঁধে চেপে জোড়াবাঘ গৌরাঙ্গিনী নামে খ্যাত গৌরাঙ্গিনী মাতার শোভাযাত্রা বের হয়।
বিকাল পাঁচটা থেকে শুরু হয় বিভিন্ন বারোয়ারি প্রতিমার শোভাযাত্রা। এই দলে ছিল, প্রাচীন মায়াপুরের বৈষ্ণবীয় চক্ররাস বা চাকরাস, যুগল মিলন, মহাপ্রভু, পার্থসারথি তেমনি আছে শবশিবা, ভারতমাতা, গণেশ জননী, অন্নপূর্ণা, অকাল বোধন, শ্যামা, বামাকালী, মহিষমর্দিনী, রণকালী, কমলে কামিনী সহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা। শোভাযাত্রা দেখতে কোথাও তিলধারণের জায়গা ছিল না। অন্যদিকে, পসরা সাজিয়ে চলে রাতভর দোকানিদের কেনাবেচাও চলে। আড়ং শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। আড়ং শেষে প্রতিমা যে যার মণ্ডপে ফিরে যায়। আজ বৃহস্পতিবার হবে প্রতিমার বিসর্জন।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সপরিবারে এই প্রথমবার নবদ্বীপের রাস দেখতে এসেছেন অনিমেষ মাইতি। তিনি বলেন, একটি পুজোয় এত প্রতিমার বৈচিত্র্য আগে কোথাও দেখিনি। ভাগ্যিস সকাল বেলা এসে চট পেতে জায়গা রেখেছিলাম। না হলে আড়ং দেখা থেকে বঞ্চিত হতাম। বিশাল উচ্চতার পেল্লাই পেল্লাই বৈচিত্রময় প্রতিমা বলবিয়ারিং যুক্ত গাড়িতে যাচ্ছে। চারদিকে দু’টি বাচ্চা ছেলে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে তা নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, বিসর্জনের জন্য নবদ্বীপের নির্দিষ্ট ফাঁসিতলাঘাট, পীরতলা খাল ও কয়েকটি পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। বিসর্জনের পর তাড়াতাড়ি কাঠামো তোলার জন্য ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবদ্বীপ পুরসভার নিজস্ব বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রয়েছে।