Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট।
বুড়ো হওয়াতে বড্ড ভয় ছিল ছোটবেলা থেকে। সেটা মরার ভয় যত না, তার চাইতে বেশি ভয় ভীমরতি হবার। এমনিতে ছেলেবেলা থেকেই 'হযবরল' গেঁথে আছে রক্তে আর মস্তিষ্কে। সেখানে উধোবুড়ো আর বুধোবুড়ো একেবারে পরিষ্কার বলছে, তারা বুড়ো হয়ে মরতে চায় না। তাই তাদের বয়স নিয়ন্ত্রণের এক অদ্ভুত ব্যবস্থা। চল্লিশ বছর বয়স হলেই তারা বয়সের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়। একচল্লিশ, বেয়াল্লিশ না হয়ে তাদের বয়স তখন গড়াতে থাকে ঊনচল্লিশ, আটত্রিশ করে পিছনের দিকে। এমন ভাবে চলে দশ পর্যন্ত। তারপর তা আবার বাড়ে চল্লিশ অবধি, তারপর আবার কমে। এমনি করে পেন্ডুলামের দোলনার মত দশ থেকে চল্লিশের সীমারেখার মধ্যে ওঠাপড়া করতে থাকে বয়স। এবং আপাতভাবে আটকে থাকে চির-যৌবন। আচ্ছা, চল্লিশ কি তাহলে বয়স বাড়ার ক্ষেত্রে একটা বিপদ-সীমা? আর পঞ্চাশ তাহলে কি? পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ, এমন কথা সত্যিই কি শাস্ত্রে বলে?
আর সেই শাস্ত্রকে ধ্রুব মেনেই কি এগনো উচিত? নাকি আজকের দিনে বদলে দিতে হবে সেই সব শাস্ত্রের বিধান? কারণ উধো-বুধো পারলেও আমরা তো আর ঘুরিয়ে দিতে পারব না বয়সের গতিপথ। আমরা তো আর সুকুমারী জগতের বাসিন্দা নই।
নিজেকে সুস্থ আর তরতাজা রাখার জন্য তাই নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা প্রয়োজন নিশ্চয়ই। বয়স বাড়লে কমবেশি টুকটাক শারীরবৃত্তীয় সমস্যা দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তার জন্য কিছু ওষুধ-বিষুধ, আর সেই সঙ্গে কিছুটা হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চা, ব্যাস। ডাক্তার, বন্ধুবান্ধব, শুভানুধ্যায়ী সকলেরই দেখছি মোটামুটি একই নিদান। পরামর্শ তো ঠিক আছে, কিন্তু করে কে? আমার মত অলস লোক করবে শরীরচর্চা? খুব উৎসাহ নিয়ে একদিন মর্নিং ওয়াক করে তার পরের দিন ঘুম থেকে উঠলাম সাড়ে আটটায়। শেষে আমার এক সিনিয়র সহকর্মীর পরামর্শ পাওয়া গেল। তিনি বললেন, এইসব শরীরচর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে তুমি তোমার বার্দ্ধক্যকেই দীর্ঘায়িত করতে পারবে, যৌবনকে নয়। কথাটা মনে ধরল খুব। থ্যাঙ্কু, দাদা। আমার মত অলস লোকের এমনই একটা অবলম্বন দরকার ছিল।
যাই হোক, আমি তো শতাব্দীর আধখানা পার করার আগেই ঝিমিয়ে পড়েছি। ওদিকে চারদিকে যেন উচ্চস্বরে বার্দ্ধক্যের জয়গান উঠছে। প্রৌঢ় লোকজন জিমে ছুটছে। দৌড়াচ্ছে সকাল বিকেল। যতই হাঁফ ধরুক না কেন। হাহা হিহি করে হেসে যাচ্ছে লাফিং ক্লাবে গিয়ে। চারধারে শুনছি, বয়স নাকি আসলে একটা সংখ্যা মাত্র। তা হবে। তবে সব সংখ্যার যে মাহাত্ম্য সমান, তাই বা কে বলল? আলু আর আলুবখরা কি এক হল? বড় সংখ্যা আর ছোট সংখ্যার ভ্যালু কি এক? জিডিপি ৮ শতাংশ নাকি ৫, তা নিয়ে তবে এত মাথা ঘামানো কেন বাপু? হেড অফিসের বড়বাবু আর পিয়ন তাহলে একই মাইনে পাক আজ থেকে। তবু খুঁজে-পেতে কিছু তথ্য জোগাড় করে ফেললাম। তার জন্য বেশিরভাগ ধন্যবাদটাই অবশ্য গুরু গুগলের পাওনা।
যেমন, এ বছর অনেকেই বোধহয় প্রস্তুত হয়ে ছিল, নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসের কনিষ্ঠতম বিজেতাকে পাবার জন্য। হ্যাঁ, গ্রেটা থুনবার্গ নামে ১৬ বছরের সুইডিশ মেয়েটির কথা বলছি আমি। পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের জন্য শান্তির নোবেলটা গ্রেটা পেতে পারে বলে ভেবেছিল সংশ্লিষ্ট অনেকেই। মিডিয়াও বেশ হইচই করেছিল এ বিষয়ে। বাস্তবে কিন্তু হয়নি তেমনটা। পরিবর্তে আমরা পেলাম নোবেল পুরষ্কারের ইতিহাসের বরিষ্ঠতম বিজেতাকে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিনের অধ্যাপক জন গুডএনাফ। ৯৭ পেরনো এই বিজ্ঞানী এবার নোবেল পেয়েছেন রসায়নে। মজার কথা হল, তিনি রেকর্ড ভেঙেছেন তাঁরই সমবয়সি আর এক বিজ্ঞানীর, আর্থার অ্যাশকিন-এর, যিনি ৯৬ বছর বয়সে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছিলেন মাত্র গত বছরই। নোবেলের দুনিয়ায় সাম্প্রতিক অতীতে তাই বয়সের জয়জয়কার।
একটু তথ্য ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনুপ্রেরণার কোনও অভাব নেই কোথাও। বুড়ো বয়সের দাপট দেখানো কীর্তিরও কমতি নেই একদম। কানাডিয়ান অভিনেতা ক্রিস্টোফার প্লামার যেমন অস্কার পান ৮২ বছর বয়সে। ওদিকে ৭২ বছর বয়সে অলিম্পিক মেডেল পান অস্কার সোয়ান, সেই ১৯২০র এন্টোয়ার্প অলিম্পিকে। জন গ্লেন আবার ৭৭ বছর বয়সে স্পেসে গেলেন। ৬৪ বছর বয়সে ডায়ানা নিয়াড সাঁতরে পারি দেন কিউবা থেকে ফ্লোরিডা এই ১১০ মাইল। ৯২ বছর বয়সে ম্যারাথন দৌড়েছিলেন গ্ল্যডিস বুরিল নামে এক মহিলা। ১০০ বছর বয়সে মাউন্ট ফুজি জয় করেছিলেন টেইচি ইগারাশি নামে এক অভিযাত্রী। ডরোথি ড্যাভেনহিল হির্‌শ উত্তর মেরুতে যান ৮৯ বছর বয়সে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও চমক আছে। এই তো গত বছরই, রাজনৈতিক অবসর ভেঙে ফিরে এসে ৯৩ বছর বয়সে আবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন মাহাথির মহম্মদ। অবশ্য এসব কীর্তি নিয়ে বলা যেতেই পারে যে, এগুলির জন্যে দরকার দীর্ঘ দিনের অনুশীলন, অভ্যাস। এসব তাই নেহাতই হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। কিন্তু সব উদ্যোগই যে এ রকম হতে হবে, তেমনটা তো নয়।
সাধারণ মানুষও তো দেখছি বয়স ভুলে এগিয়ে চলেছে জীবনের পথে। এই তো সেদিন খবরে দেখলাম, ত্রিচীর ভারতীদশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি পেলেন ৯১ বছরের এক চার্টার্ড অ্যাকান্টেন্ট। বেশ ভালো লাগল। সত্যিই তো। যতদিন বাঁচার, চলার পথটাকে রাঙিয়ে নিয়ে বাঁচার মত করেই তো বাঁচা উচিত।
আমার যেমন কত রকমের ব্যবসায়ের পরিকল্পনা গিজগিজ করে মাথার ভিতরে। কিছুই তো করা হল না জীবনে। পঞ্চাশের কাছে এসে এখন দম ফুরিয়ে যাবার জোগাড়। একটু হাঁটলে হাঁফ ধরে, চোখে চালশে, আর মনের উপরেও যেন ধূসর এক পুরু আস্তরণ। ওদিকে খুঁজে-পেতে দেখি, কর্নেল স্যান্ডার্স নামে থুতনিতে দাড়িওয়ালা এক মার্কিন ভদ্রলোক ৬৫ বছর বয়সে হাতে পান তাঁর প্রথম সোশ্যাল সিকিউরিটির চেক, ৯৯ ডলারের। আর তাই দিয়ে খুলে ফেলেন মুরগি ভাজা বিক্রির এক ব্যবসা। না, আর পাঁচটা চপ-তেলেভাজার দোকানের মত আর একটা দোকান হয়েই থাকে নি কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের এই ব্যবসাটা। আজ ১৪১টা দেশে রয়েছে কেএফসি-র উপস্থিতি। ২০১৫-তেই বিশ্বজুড়ে সাড়ে বাইশ হাজারের বেশি তার আউটলেট, আর ২০১৩-তেই আয়ের পরিমাণ ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার। তাই নড়ে-চড়ে বসার, কিংবা উদ্যোগ নিয়ে কিছু একটা শুরু করার কোনও বয়স হয়তো সত্যিই নেই। এটা হয়তো প্রায় সব কিছুর জন্যেই সত্যি। তাই আমার বোধহয় এখনও সময় আছে।
আন্না মেরি রবার্টসন বিখ্যাত হয়ে আছেন মার্কিন গ্রামীণ জীবনশৈলী নিয়ে তাঁর নস্টালজিক পেন্টিং-এর জন্য। গ্র্যান্ডমা মোজেস নামেই বেশি পরিচিত এই শিল্পী ছবি আঁকা শুরু করেন ৭৮ বছর বয়সে। আহা, আমারও তো এক বয়সে শখ ছিল ছবি আঁকার। আর ৭৮ হতে এখনও ঢের দেরি।
আসলে স্বপ্ন দেখতে তো কোনও আপত্তি নেই। হোক না তা অলীক চিন্তা। যেমন, অল্প বয়সে কখনও মনে হতো, কোনও এক পনেরই আগস্ট লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারলে বেশ হতো। কিন্তু সে সব তো দূরের কথা, রাজনীতিই করলাম না কখনও এত বয়সের মধ্যে। অবশ্য রোনাল্ড রেগন যে ৫৫ বছর বয়সে প্রথম রাজনীতিতে ঢোকেন, এটা জেনে খুব আমোদ হল। আর মনমোহন সিং রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন ৫৯ বছরে। আমার তাহলে আশা আছে এখনও!
চায়ের কাপটায় শেষ চুমুকটা দিয়ে বেশ উজ্জীবিত হয়ে উঠলাম। না, একটু নড়েচড়ে বসা যাক। কিছু একটা করতেই হবে। যতদিন টিকবো, বাঁচতে হবে বাঁচার মত করে। সত্যিই তো, এই পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ একবার পরখ করে দেখতেই পারি। রবি-কবি তো বলেইছেন, ঘরের কোণে বসে পয়সা-কড়ি জমা করা, বিষয়-পত্র দেখা, আর মামলা-মোকদ্দমা চালানোটা বুড়োদের কাজ। আর যুবাদের কাজ হল, কঠিন ব্রতে রত থাকা। মন বলে উঠল, উত্তিষ্ঠত জাগ্রত। সোফায় এলিয়ে পড়া শরীরটাকে তুলে চট্‌ করে উঠে দাঁড়ালাম। হতচ্ছাড়া কোমরের ব্যথাটা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে উঠল। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিল হাঁটুর যন্ত্রণাটা। বুকটা ধড়ফড় করতে লাগল, মনে পড়ল হার্টের ওষুধটা খাওয়া হয় নি এখনও। কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ভাবতে লাগলাম, সোফায় আবার বসে পড়ে আর এক কাপ চা চাইব, নাকি দরজা ঠেলে বাইরে বের হব। খোলা হাওয়ায়, অন্তত একবার...
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। বিশদ

10th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, গুসকরা: আউশগ্রামের সরগ্রামে হস্টেলে বড় ছেলেকে পোশাক দিতে এসে স্ত্রী ও ছোট ছেলে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করলেন গলসির মেরুয়াল গ্রামের বাসিন্দা সোমলাল মার্ডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আউশগ্রাম থানায় এনিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তিনি।   ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

ইন্দোর, ১৩ নভেম্বর: ৩২টি টেস্ট খেলে ২৬টি’তে জয়। পাঁচটি ড্র। একটিতে হার। ২০১৩ সাল থেকে ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে ‘টিম ইন্ডিয়া’র সাফল্যের এই পরিসংখ্যানই ...

সংবাদদাতা, গাজোল: স্কুলে যেতে ইচ্ছা করলেও উপায় নেই। সংসার চালাতে হবে তো। তাই বয়স ষোলোর গণ্ডী না পেরোলেও স্কুল ছেড়ে কাজেই মন দিয়েছে ওরা। কারও আবার বাড়ি অন্য ঩রাজ্যে। বাবা-মায়ের হাত ধরে আপাতত ঠাঁই হয়েছে পুরাতন মালদহে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৩ টাকা ৭৩.২৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.০১ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.১৫ টাকা ৮০.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ কার্তিক ১৪২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩৫/৭ রাত্রি ৭/৫৫। রোহিণী ৪২/১৮ রাত্রি ১০/৪৭। সূ উ ৫/৫২/৭, অ ৪/৪৯/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৬ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৭ কার্তিক ১৪২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৪২/৫২ রাত্রি ৭/৪৬/৩৬। রোহিণী ৪৪/২/৫২ রাত্রি ১১/৩০/৩৬, সূ উ ৫/৫৩/২৭, অ ৪/৫০/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩০ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ৩/২৫ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ৩/২৮/২০ গতে ৪/৫০/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/৬/১২ গতে ৩/২৮/২০ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২১/৫৭ গতে ১২/৫৯/৫০ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। বৃষ: প্রেমে সাফল্য। মিথুন: কর্মক্ষেত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস১৮৮৯: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্ম ও শিশুদিবস১৯৭১: অস্ট্রেলিয়ার ...বিশদ

07:03:20 PM

  এবার রাজভবনেও হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ
এবার রাজভবনেও তৈরি হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। ১০২ জন ...বিশদ

06:07:00 PM

রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
নির্দিষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কথায় চলছেন রাজ্যপাল। আজ এভাবেই রাজ্যপালের ...বিশদ

05:59:00 PM

হেলিকপ্টার না পাওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি রাজভবনের
আগামীকাল শুক্রবার স্থলপথেই ৬০০ কিমি যাত্রা করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ...বিশদ

05:48:00 PM

প্রথম টেস্ট: প্রথম দিনের শেষে ভারত ৮৬/১ 

05:07:03 PM