বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি) সব্যসাচী সরকার বলেন, আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী বুধবার খাদান খোলার কথা ছিল। কিন্তু, খাদানের জন্য লিজ দেওয়া জমি আগে মাপজোখ করা হবে। নির্দিষ্ট আয়তন পর্যন্ত পিলার দিয়ে চিহ্নিতকরণ করা হবে। এছাড়াও নদ ও নদীতে জল বইতে যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তা দেখা হবে। সবকিছু খতিয়ে দেখে তারপর বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় দ্বারকেশ্বর, দামোদর, শিলাবতী প্রভৃতি নদ ও নদীর বালি খাদান থেকে প্রতি বছর কয়েকশো কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় হয়। চলতি বছরে জেলায় মোট ১৩৫টি বৈধ খাদান লিজ দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া ছাড়াও ভিন জেলা ও রাজ্য থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি তা লিজ নিয়েছেন। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বর্ষার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত বালি খাদান বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে ওই সময় বালির অভাবে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে নির্মাণকাজে বাধা যাতে না আসে তার জন্য জেলায় ৫০শেরও বেশি স্টক ইয়ার্ড অনুমতি দেওয়া হয়। খাদান বন্ধের সময় সরকারি চালানের মাধ্যমে ওই স্টক ইয়ার্ড থেকে বালি পরিবহণে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়। যদিও এসব সত্ত্বেও জেলায় অবৈধভাবে বালি চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। বৈধ খাদানের মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধেও অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে বালি তুলে বিক্রির অভিযোগ ওঠে।
তবে বালি চুরি ঠেকাতে প্রশাসনের তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লিজ নেওয়া অংশ নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত পিলার দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। তার বাইরে থেকে যাতে বালি তোলা না হয় সে বিষয়ে বোর্ডে লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। তাতে চিহ্নিত জায়গার বাইরে থেকে বালি তোলা হলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করতে পারবেন। প্রয়োজনে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিতেও পারবেন। শুধু তাই নয়, পুজোর সময় বৃষ্টি হওয়ায় নদ ও নদীতে জল বইছে। এসময় খাদান চালু করা হলে জলের স্বাভাবিক গতি হারাবে। এসব কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরলেও খাদান চালুর উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত প্রায় তিনমাস ধরে খাদান বন্ধ থাকায় বালির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্যাপকহারে বালি চুরিও হচ্ছে। তাই তাঁরা খাদান দ্রুত চালু করে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।