বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ২১সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে। তবে এ রাজ্যে এই সময় দুর্গাপুজো পড়ে যাওয়ায়, সেই সময় বাংলার তিনটি আসনে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়নি। কংগ্রেস বিধায়কের মৃত্যুতে উত্তর দিনাজপুরের কালীয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনেও শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। বাকি দুই বিধানসভা আসন শূন্য। কারণ, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপির দিলীপ ঘোষ সংসদ সদস্য হয়েছেন।
লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। যদিও করিমপুর কেন্দ্রে বিজেপির থেকে চোদ্দ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। এই লোকসভা ভোটে করিমপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ৮৭,৫১৩ ভোট পেয়েছে। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোট কমে গিয়েছে। এবার তৃণমূল কতটা ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে যেমন দেখার। এনআরসি ইস্যুও আগামী দিনে ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে, বাংলাদেশ সীমানা লাগোয়া এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে তা বোঝা যাবে। এব্যাপারে যদিও মহুয়াদেবীকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, আগে নির্বাচন ঘোষণা হোক।
লোকসভা ভোটের পর গত বেশ কয়েক মাস ধরে সাংগঠনিক হাল আরও মজবুত করতে জোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। সম্প্রতি করিমপুরের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধনও করেছে। করিমপুর ১ ও ২ ব্লকে কার্যত চষে ফেলেছেন মহুয়াদেবী। বুথ স্তরে একাধিক ছোট ছোট সভা, মিটিং মিছিলের আয়োজন থেকে পুজোর দিনগুলিতেও জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি থেকে জেলা প্রশাসনের ছোট বড় অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন। করিমপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘরোয়া বৈঠক থেকে আলোচনাও হয়েছে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার এক নেতার দাবি, রাজ্য থেকে দলীয় যে যে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছিল, মহুয়া মৈত্রই উদ্যোগী হয়ে সবটাই সম্পন্ন করেছেন। করিমপুর ১ ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, মার্জিন আমাদের বাড়বে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এগচ্ছি। করিমপুর ২ ব্লকের ব্লক সভাপতি আজিজুর মল্লিক বলেন, অঞ্চলে অঞ্চলে আমরা সংগঠন মজবুত করতে সব কর্মসূচিই পালন করছি। ফলাফল আমাদের ভালোই হবে। করিমপুরের বিজেপি নেতা বুদ্ধদেব শীল বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। মানুষ আমাদের পাশে থাকবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট ভেস্তে গিয়েছিল। যদিও নদীয়ার সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, জোট হবে কি না তা রাজ্যের সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের মতো করে প্রস্তুতি সারছি।