বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, অপহরণে জামির ও রবিউল ছাড়া অন্য কেউ জড়িত নয়। অপহরণের পর শিশুর পরিবারকে নানাভাবে জামির বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। অপহরণের পর শিশুর পরিবারের পাশে থাকায় কারও মনে কোনও সন্দেহ হয়নি। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে দুর্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতও হচ্ছিল সে। তবে, কাঁদরসোনার ঝোপঝাড় থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে অপহৃত শিশু উদ্ধার হওয়ার পরই সে ভেঙে পড়ে। শিশুটি অপহরণে ড্রাইভার আঙ্কেলের নাম করার পর সে নানা যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে জামির অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেয়।
সোমবার অপহরণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিস। তবে, মঙ্গলবার আদালতের কাজকর্ম শুরু হতেই তদন্তকারী অফিসার শ্রীধর সেন মাদক মামলায় জেলে থাকা জামিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন। সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা আবেদন মঞ্জুর করার পর বর্ধমান সংশোধনাগারে গিয়ে জামিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিস সূত্রে খবর, জেলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভেঙে পড়ে অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেয় জামির। সে-ই অপহরণের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে বলে স্বীকার করে নেয়। বিকেলে অপহরণ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। ধৃতকে ২২ অক্টোবর আদালতে পেশ করার জন্য নির্দেশ দেন সিজেএম। সেদিনই গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নিখোঁজ হয় শক্তিগড় থানার আমড়ার ল্যাংচা ব্যবসায়ী বলিরাম ওঝার ৫ বছরের ছেলে অনীশ। তবে বাবারই গাড়িতে করে যে অনীশকে অপহরণ করা হতে পারে তা বিন্দুমাত্র মনে আসেনি পুলিসের। পরে, আশপাশের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গাড়ির বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিস। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দোকান লাগোয়া বাড়ি থেকে হাঁটিয়ে গাড়িতে তোলা হয় অনীশকে। ক্লোরোফর্ম জাতীয় কিছু দিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়। এরপর হাত-পা বেঁধে ও গলায় প্লাস্টিকের স্ট্রিপ বেঁধে তাকে গাড়ির ডিকিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর গাড়ি নিয়ে অপহৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যায় সে। এমনকী থানায় অভিযোগ জানাতেও গাড়িটি নিয়েই যায় সে। জিজ্ঞাসাবাদে জামির জানিয়েছে, কিছুদিন ধরেই অনীশকে অপহরণের ছক কষেছিল সে। পরিকল্পনা সফল করতে শিশুর বাবার কাছে গাড়ি চালানোর কাজ নেয় জামির।
পুলিস আরও জেনেছে, ঘটনার দিন মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করার জন্য রবিউলকে ২০০ বারের বেশি ফোন করে চাপ দেয় জামির।
এদিকে এদিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অনীশকে। তাকে যেভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল তাতে সে মারা যেতে পারত। তাই, মামলায় এখনও মেরে ফেলার চেষ্টার ধারা যুক্ত না হওয়ায় বিস্মিত আইনজীবী মহল। শক্তিগড় থানার এক অফিসার বলেন, শিশুটির চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি হাসপাতাল থেকে নেওয়ার পর খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।