ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
মৃত বধূর নাম শীলা মণ্ডল (২১)। তাঁর বাপের বাড়ি বিহারের চম্পারণ জেলার সিমাই থানার ভবানীপুর গ্রামে। সাতমাস আগে শীলার বিয়ে হয় ডালখোলা থানার হেমানপুর গ্ৰামের জয়প্রকাশ সরকারের সঙ্গে। মৃত বধূর মা রিঙ্কু দেবীর অভিযোগ, বিয়ের একমাস পর থেকেই জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে মারধর করত। পণের এক লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দিত মেয়েকে। কিছুদিন আগে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে প্রতিবেশী একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয় মেয়ে। সেখান থেকে ফোন করে ঘটনার কথা বলে। চারমাস আগে সালিশি সভা করে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে এসেছিলাম।
রিঙ্কু দেবীর দাবি, এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ হেমানপুর গ্ৰামের এক বাসিন্দা ফোন করে তাঁকে জানান মারধর করে জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ফেলার জন্য বিষ খাইয়ে দিয়েছে মেয়েকে। মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সেখানে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ডালখোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই শীলার মৃত্যু হয়।
বধূর স্বামী বলেন, পারিবারিক গণ্ডগোল হয়েছিল। স্ত্রী নিজেই ধান জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। ডালখোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর বাবা ভরত মণ্ডল। তিনি বলেন, জামাই সহ শ্বশুর, শাশুড়ি মেয়েকে মারধর করে জোর করে বিষ খাইয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।