সংবাদদাতা, পতিরাম: মাধ্যমিকে অভূতপূর্ব রেজাল্ট বালুরঘাট শহরের পড়ুয়াদের। রাজ্যের মেধাতালিকায় প্রথম দশে জেলারই ৭ জন। তার মধ্যে বালুরঘাট শহরের ৬ পড়ুয়া রয়েছে। কৃতী পড়ুয়াদের সাফল্য দেখে এবার আশায় বুক বাঁধছে পরের বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। এখন থেকেই মন দিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে তারা। অভিভাবকরাও কৃতী পড়ুয়াদের সাফল্যের কথা হবু পরীক্ষার্থীদের বারবার বলতে শুরু করেছেন। কীভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল কৃতীরা, সেই টিপসও নিচ্ছে হবু পরীক্ষার্থীরা। এবিষয়ে বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মহুয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের স্কুলের দু’জন ছাত্রী মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান পেয়েছে। আরও অনেক পড়ুয়া অল্পের জন্য মেধা তালিকায় আসেনি। আমরা মনে করি, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর অনুশাসন দরকার। পরীক্ষার্থীদের উচিত নিয়ম করে পড়াশোনা করা। তাহলেই সাফল্য আসবে। শহরের কলেজ পাড়ার এক ছাত্রীর বাবা বিশ্বজিৎ বসাক বলেন, আমার মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। এবারের এই রেজাল্ট তাদের খুব উৎসাহিত করছে। 
বালুরঘাট হাইস্কুলের দশমের পড়ুয়া দেবমাল্য মহন্ত বলে, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেব। এবছর দাদা, দিদিরা ভালো রেজাল্ট করেছে। তাদের কাছে পরামর্শ নিচ্ছি। সেইমতোই প্রস্তুতি নিচ্ছি। 
বালুরঘাট হাইস্কুলের চারজন এবার মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এসেছে। ৬৯১ পেয়ে উদয়ন প্রসাদ রাজ্যে তৃতীয়। একই স্কুলের কৃশানু সাহা ৬৮৮ পেয় ষষ্ঠ হয়েছে। ওই স্কুলেরই সাত্বত দে ৬৮৭ পেয়ে সপ্তম এবং রৌনক ঘোষ ৬৮৫ পেয়ে নবম হয়েছে। বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুল থেকে আবৃত্তি ঘটক ও অর্পিতা ঘোষ ৬৮৭ পেয়ে একই স্কুল থেকে সপ্তম এবং বাউল পরমেশ্বর হাইস্কুলের ছাত্রী অস্মিতা চক্রবর্তী ৬৮৫ পেয়ে নবম। 
বালুরঘাট শহরে মাধ্যমিকে প্রতিবছরই কেউ না কেউ মেধা তালিকায় স্থান পায়। গতবার দু’জন ছিল। শহরের বালুরঘাট হাইস্কুল, গার্লস স্কুল ও আদর্শ স্কুল থেকে তালিকায় স্থান পায় ছাত্ররা। তবে এবারে আদর্শ স্কুল থেকে কেউ মেধা তালিকায় নেই। শিক্ষামহলের দাবি, বালুরঘাট শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর। শহরে চাকরিজীবী মানুষের বেশি বসবাস। তাই পড়ুয়াদের ভালোভাবে গাইড করতে পারেন অভিভাবকরা। এমনকী স্কুলগুলিতেও শিক্ষার পরিবেশ ভালো।