ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
রবিঝোরা থেকে গেইল খোলা পর্যন্ত ৩ কিমি রাস্তা সংস্কারের কাজের জন্য ৬ মে সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে সব রকম যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গোটা রাজ্য দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে। বহু মানুষ একটু শীতলতার খোঁজে পাহাড়মুখী হয়েছেন। সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড় এখন পর্যটক ঠাসা। আগামীতে আরও পর্যটক আসবে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটররা।
এই ভরা পর্যটন মরশুমে এভাবে ৭২ ঘণ্টা পাহাড়-ডুয়ার্স-তরাইয়ের লাইফ লাইন বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে পর্যটন ব্যবসায় বড় ধাক্কা লাগার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, গত বছর পুজোর আগে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় অনেক জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমরা বারবার বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি পর্যটন মরশুমের আগেই যাতে সেই রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু মার্চ-এপ্রিলে রাস্তা সংস্কারের জন্য মাঝেমধ্যেই জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই ধাক্কা সামলে ওঠা গেলেও এখন ভরা পর্যটন মরশুমের মধ্যে ৭২ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকলে আমাদের ব্যবসায় বড় ধাক্কা লাগবে। প্রশাসনকে আগাম জানানোর পরও কেন ভরা পর্যটন মরশুমে রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাব। শিলিগুড়ির এক পর্যটন ব্যবসায়ী রাজেশ পোদ্দার বলেন, হঠাৎ করে এই খবরে খুবই উদ্বেগে পড়েছি। আমাদের অনেক পর্যটক ওই সময়ে পাহাড় থেকে নামবেন আবার অনেকে সিকিমে যাবেন। তাঁদেরকে ঘুরপথে পাঠাতে হবে। এতে খরচ যেমন বাড়বে তেমনি সময় বেশি লাগবে।
ওই ৭২ ঘণ্টা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখার জন্য ঘুরপথে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ চলবে। সেব্যাপারে জেলা প্রশাসন যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে কালিম্পং, আলগারা, লাভা, গোরুবাথান হয়ে শিলিগুড়িতে যাতায়াত করবে ছোট যাত্রীবাহী গাড়িগুলি। পণ্যবাহী ছোট গাড়ি চলবে ঋষি, পেডং, আলগারা, লাভা ও গোরুবাথান হয়ে।