ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ওই নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছে, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময় প্রচুর পুরনো গাছ কাটা পড়েছিল। তারপর বিকল্প হিসেবে সেখানে কয়েক হাজার চারাগাছ রোপণ করা হয়। কৃষ্ণচূড়া, জাম, আকাশমণি সহ নানা গাছের চারাগুলি বেশ বড় হয়েছিল। কিন্তু গাছের উপর বালি ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় সেগুলি কেটে দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি ক্ষুব্ধ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, গাছের কতটা গুরুত্ব, সেটা মানুষ এখন বুঝছেন। যা হয়েছে, তা খুবই অন্যায়। প্রশাসন নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের পর রাস্তার পাশে বেশকিছু হোটেল সহ দোকান তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধার জন্য গাছগুলি কেটে ফেলছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০০ গাছ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছে, যারা জাতীয় সড়কের পাশে দোকান করছে, তারা বিভিন্ন বর্জ্য ও জঞ্জাল চারাগাছের সামনে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গোটা জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে এভাবে গাছের চারা নষ্ট করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রামসাই কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নে তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। জলের সমস্যার পাশাপাশি বাড়ছে গরম। সমগ্র বিশ্ব গাছরক্ষার বার্তা দিচ্ছে। সেখানে গাছের চারা কেটে ফেলা অমানবিক। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, সেটাই চাই।