ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এনজেপি থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অতনু কর। বয়স আনুমানিক ৪৮ বছর। প্রায় দু’মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি বীরপাড়ায়। তবে ফুলবাড়ির রাজীবনগরে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মৃত ব্যক্তি ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলেন। এলাকায় তাঁর পরিচিতি ছিল।
সকালে ফুলবাড়ির জিয়াগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত ভগ্নপ্রায় কারখানায় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি গোরু খুঁজতে গিয়ে ওই কারখানার ভিতরে পচাগলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়। প্রথমে কেউ মৃতদেহটি শনাক্ত করতে পারেননি। খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
অতনু করের বাড়ির মালিক শম্পা সেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি মৃতদেহ শনাক্ত করেন। শম্পাদেবী বলেন, দু’মাস ধরে অতনু কর নিখোঁজ ছিলেন। এনজেপি থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। আমার বাড়িতে অতনু ও তাঁর মা থাকতেন। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মা এখন থেকে বীরপাড়ার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। তিনি দু’সপ্তাহ আগে ফিরেছেন। ওঁর নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে একের পর এক পাওনাদার এসে খোঁজ শুরু করেন। তা থেকে আমরা বুঝতে পারি অতনু দেনার দায়ে জর্জরিত। পচাগলা মৃতদেহ দেখে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, এক মাসেরও বেশি সময় আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা না খুন এ নিয়ে ধন্দে পুলিস। কারণ ওই পরিত্যক্ত ভাঙা কারখানায় অতনু কি করতে গিয়েছিলেন তদন্তে সেই প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, পাওনাদারদের কেউ টাকা না পেয়ে তাঁকে খুন করে থাকতে পারে। আবার কেউ মনে করছেন, দেনার দায় থেকে মুক্তি পেতে অতনু আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এনজেপি থানার পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে এটা খুন না আত্মহত্যা।