সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে কালিম্পংয়ে বিজেপির চার নেতা-কর্মী শামিল হন অনীতের দলে। এই ঘটনার রেশকাটতে না কাটতেই এদিন কালিম্পংয়ের পেডংয়ে একটি যোগদান শিবির করে বিজিপিএম। সভায় নেতৃত্ব দেন তাদের যুব সংগঠনের সভাপতি দাওয়া তেনজি শেরপা। তাতে হাজির হয়ে বিজেপি পরিবারের সদস্যরা বিজিপিএমের ঝান্ডা তুলে নেন।
বিজিপিএমের ওই যুব সভাপতি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পাহাড়বাসীর সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। তা পূরণ হয়নি। এজন্যই পেডংয়ের ১৫০টি পরিবারের প্রায় ৫৫০ জন যোগ দিয়েছেন বিজিপিএমের। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, বিজেপির ইস্তাহারে পাহাড়ের কোনও কথাই উল্লেখ করা হয়নি। তাই পদ্মের উপর আর ভরসা করতে পারছেন না পাহাড়বাসী। পেডংয়ের মতো বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির নেতা-কর্মীরা দলবদলের জন্য যোগাযোগ করছেন। শীঘ্রই আরও কিছু বিজেপি কর্মী যোগ দেবেন বিজিপিএমে।
বিজেপির দার্জিলিং হিল সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান অবশ্য বলেন, কালিম্পংয়ের ওই ঘটনা জানা নেই। ভোটের ময়দানে হাওয়া গরমের উদ্দেশ্যে বিজিপিএম অপপ্রচার করছে। তবে আমাদের শক্তিও বাড়ছে। দার্জিলিং শহরের পর মিরিকেও হামরো পার্টির কয়েকজন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পাল্টা হামরো পার্টি টোপ দিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, ভোটের ময়দানে ফের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি মাঠে খেলা চলছিল। আচমকা মাঠে নামেন বিজেপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁরা সেখান থেকে ফেরার সময় ‘রাজু বিস্তা গো-ব্যাক স্লোগান’ দেন কিছু যুবক।
এনিয়ে বিজিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র বলেন, ওই ঘটনাটি গোরুবাথানের। এর থেকে স্পষ্ট বিজেপি প্রার্থীর উপর পাহাড়বাসীর আস্থা নেই। এবিষয়ে বিজেপি প্রার্থীরকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপির হিল সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি বলেন, গোরুবাথানে মিটিংয়ে কিছু হয়নি। এলাকার একটি খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রার্থী গিয়েছিলেন। বিক্ষোভের ভাইরাল ভিডিও পেয়েছি। সম্ভবত বিজিপিএম ষড়যন্ত্র করে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।