সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও হেভিওয়েট কেউ না আসলেও, রাজ্যস্তরের নেতারা এসে বেশ কয়েক জায়গায় সভা করেছেন। আজ, বুধবার কেন্দ্রীয় কোনও হেভিওয়েট নেতাকে কাউকে নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথাও শোনাতে পারেনি বিজেপি। ফলে প্রচার পর্বে তৃণমূলের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির।
গত বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির বড়কৈমারি পঞ্চায়েত এলাকার শিবপুর চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় জনসভা করেছিলেন অমিত শাহ। তার পাল্টা মাথাভাঙা শহরের কলেজমোড় এলাকায় সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবারে মাথাভাঙা-২ ব্লকের বিজেপির শক্তঘাঁটি লতাপোঁতায় মমতা সভা করলেও, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পাল্টা সভাই করতে পারেনি বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে মাথাভাঙা শহরে বলিউডের এক অভিনেত্রীকে নিয়েও রোড শো করেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। এবারে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একাই রোড শো করেছেন প্রার্থী। মাথাভাঙা-২ ব্লকে তৃণমূল নেত্রীর সভার পরই জোরকদমে মাঠে নেমে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, মাথাভাঙা মহকুমায় বিগত দিনগুলিতে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা পঞ্চানন বর্মার নাম ভাঙিয়ে মহকুমাজুড়ে একাধিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার কোনওটাই পূরণ না হওয়ায় এবারের নির্বাচনে মাথাভাঙাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সেদিক থেকে তৃণমূল খলিসামারিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করা সহ কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। ফলে এবারে প্রচারে মাথাভাঙায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, আমরা প্রচারে পিছিয়ে রয়েছি এটা ঠিক নয়। মহকুমা জোরপাটকিতে সভা করেছি, সেখানে রাজ্যস্তরের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। ছোট ছোট পথসভা করা হচ্ছে। আমাদের প্রার্থী প্রতিটি পঞ্চায়েতে গিয়েছেন। কর্মীরাও বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী গুমানিহাটে সভা করার পর থেকে আমাদের কর্মীরা বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন।