সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরির বিষয়টি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা। দুই দলই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ বলেন, বিধানসভায় এই দাবি নিয়ে বারবার সরব হয়েছি। রেল কর্তৃপক্ষ উড়ালপুল তৈরিতে রাজি রয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে উড়ালপুল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ডিপিও তৈরি করে রেলকে পাঠাচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে কিছুই করা যাচ্ছে না। ভোটের প্রচারে আমরা বিষয়টি মানুষের দরবারে তুলে ধরছি।
বিজেপি বিধায়কের যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় বলেন, ভোট এলেই কামাখ্যাগুড়িতে উড়ালপুল তৈরির আশ্বাস দেন বিজেপি নেতারা। ভোট মিটে গেলে বিজেপি নেতারা তাঁদের প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যান। কেন্দ্রীয় সরকার বা রেল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে উড়ালপুল তৈরির বিষয়ে রাজি থাকে, তাহলে এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট করুন। রেল উড়ালপুল তৈরিতে রাজি থাকলে সেই নথি জনসমক্ষে নিয়ে আসুন। পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে যৌথ সমীক্ষার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব মেলেনি। আসলে বিজেপি শুধু মানুষকে ভাঁওতা দেয়। আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে বিজেপির এই ভাঁওতাবাজি তুলে ধরছি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরির বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তবেই মন্তব্য করা সম্ভব। কেন্দ্র-রাজ্য দড়ি টানাটানি শেষে আদৌ কি কামাখ্যাগুড়িতে উড়ালপুল তৈরি হবে? কবে দূর হবে রেলগেট বন্ধ থাকার ভোগান্তি? আপাতত এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কামাখ্যাগুড়ি ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ।