সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে তিনটি লোকসভা নির্বাচন। চাঁচল মহকুমার রাজনৈতিক পটভূমিতে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। ২০১৯ সালে মালদহ উত্তর আসনে কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির খগেন মুর্মু। পরবর্তীতে একুশের বিধানসভা ভোটে মহকুমার চারটি বিধানসভা আসন যায় রাজ্যের শাসকদলের দখলে। কিন্তু না বিধায়ক, না সাংসদ কেউই উদ্যোগ নেননি কাজ সম্পূর্ণ করার বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এবার লোকসভা ভোটে চাঁচলের রাজনীতিতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে স্টেডিয়াম ইস্যু।
চাঁচলের ক্যারাটে প্রশিক্ষক সুজন আলি বলেন, ঝোঁপে জঙ্গলে ভরে গিয়েছে স্টেডিয়াম মাঠ। চারপাশে বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনার স্তূপ জমেছে। গ্যালারিগুলিও বয়সের ভারে জীর্ণ হয়ে পড়ছে। আমরা চাই সঠিক পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ হোক। স্থানীয় বাসিন্দা ঝন্টু রবিদাসের অভিযোগ, এখানে উন্নয়ন আর বিকাশের নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কাজ হয়নি। সাংসদ হোক বা বিধায়ক কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে অর্ধসমাপ্ত স্টেডিয়ামটি দুষ্কৃতীদের নেশার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এবার লোকসভায় স্টেডিয়াম ইস্যু ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তর মালদহের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপির মালদহ উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, করোনার জেরে দু’বছর তহবিলে অর্থের টান থাকায় কাজটি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এবার জয়ী হয়ে স্টেডিয়ামের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে উদ্যোগী হব। মালদহ উত্তরের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম বলেন, তৃণমূল হোক বা বিজেপি এতদিন কেউ স্টেডিয়াম নিয়ে ভাবেনি। আমরাই কাজ শুরু করেছিলাম, আমরাই প্রিয়বাবুর স্বপ্ন পূরণ করব। চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, স্টেডিয়ামকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে রাজ্য সরকারের ক্রীড়াদপ্তরে প্রস্তাব দিয়েছি। আমরাই কাজ শেষ করব। চাঁচলের অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম। - নিজস্ব চিত্র।