সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সোমবার মোগরাডাঙি বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ক্যাম্প বসানো হয়। পানিকাউরি পঞ্চায়েত প্রধান পাপিয়া সরকার নিজে উপস্থিত থেকে গ্রামবাসীদের আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করান। গ্রামের সাধারণ মানুষ আধার কার্ড নিয়ে এসে সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দেন ক্যাম্পে। প্রধান ছাড়াও ক্যাম্পে ছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, মোগরাডাঙির পাশের গ্রাম ডাঙাপাড়াতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রধান আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করান এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করেন।
ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা পরিমল মণ্ডল বলেন, প্রধান এসেছিলেন একটি ফর্ম নিয়ে। সেটা তিনি আমাদের দিয়ে পূরণ করান। প্রধান বলেছেন, ভোটে জিতলে ডিসেম্বর মাসে ঘরের টাকা দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে আরও তরান্বিত করতে তৃণমূলে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে লিফলেটও দিয়ে যান। ক্যাম্পে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা বলেন, নির্দেশ রয়েছে ফর্ম পূরণ করানোর জন্য। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আদিজা খাতুনের স্বামী মহম্মদ আইজুল হক বলেন, এবার কেন্দ্রে পরিবর্তন অনতেই হবে। কেন্দ্র বাংলাকে কোনও টাকা দিচ্ছে না। ভোটে তৃণমূল জয়ী হলে রাজ্য সরকার ঘরের টাকা তুলে দেবে সাধারণ মানুষের হাতে, সেকারণে ২০১৮ সালের আবাস যোজনার তালিকা ধরে ফর্ম পূরণ করানো হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ক্যাম্পে আধার কার্ড নিয়ে আসতে বলা হচ্ছে। আধার নম্বর দেখে ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন নেতারা। এ বিষয়ে পানিকাউরি পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৮ সালে আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘরের তালিকা তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই টাকা আটকে রাখে। রাজ্য সেই ঘরের টাকা দেবে। সেকারণে এই ফর্ম পূরণ। ক্যাম্পের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম পূরণ করছি।
তৃণমূল নেতা আফসার আলি বলেন, বিডিও অফিসের নির্দেশে আবাস যোজনার এই ফর্ম পূরণ করানো হচ্ছে। যদিও বিডিও জানিয়েছেন, এমন কোনও নির্দেশ তাঁর দপ্তর থেকে দেওয়া হয়নি।
বিজেপির রাজগঞ্জ ব্লকের কনভেনর নিতাই মণ্ডল বলেন, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এ ধরনের কাজ করা যায় না। কিন্তু তৃণমূল গ্রামে টেবিল পেতে আবাস যোজনার ঘরের জন্য ফর্ম পূরণ করাচ্ছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানাব।