বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহে। দফায় দফায় চলছে প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যান্য পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ। প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভোটকর্মীদের নিয়োগপত্র পাঠাতে শুরু করেছে জেলা নির্বাচন দপ্তর। করোনা পরিস্থিতিতে পোলিং বুথের সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় এবার বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ভোটকর্মীর সংখ্যাও অনেকটাই বেশি। তাই এবছর ভোটের ডিউটি কাটানোর আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিয়েছে জেলা নির্বাচন দপ্তর। তাই নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও প্রথম প্রশিক্ষণে যাঁরা অংশগ্রহণ করেননি তাঁদের চারদিনের মধ্যেই শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকা ভোটকর্মীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী বলেন, খুব বেশি হলে নিয়োগপত্র পাওয়া ভোটকর্মীদের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থেকেছেন। তাঁদের শোকজ নোটিস পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ হাজার ভোটকর্মীর মধ্যে দু’ হাজারেরও কম ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ নেননি। তাঁদের শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। ডিজিটাল ও হার্ড কপি দু’ভাবেই নোটিস পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের। নোটিস পাওয়ার দু’দিনের মধ্যে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে শোকজের উত্তর জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যথায় ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৩৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলে ওই নোটিসে জানানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে অনীহা নিয়ে এবার অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সাসপেন্ড করার মতো কঠোর পদক্ষেপও প্রয়োজনে করা হতে পারে।
তাই শোকজ নোটিস পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি জবাব দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন প্রায় সকলেই। তৃতীয় পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়া এক ভোটকর্মী বলেন, আমি নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই ভুল করে প্রশিক্ষণ নিতে চলে গিয়েছিলাম। আমার মতো একই ভুল আরও কয়েকজন করেছেন। আমার কাগজে সিল দিয়ে দেওয়া হলেও সই করার সুযোগ হয়নি। এখন শোকজ নোটিস চলে এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি জানিয়ে লিখিত জবাব দিয়ে দেব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শোকজের পাশাপাশি প্রথম প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকা ভোটকর্মীদের ১ মার্চ মপ আপ ট্রেনিংয়ে অংশ নিতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ভোটকর্মীদের টিকাকরণের কাজও চলছে।