বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ওই রেলকর্মীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু কীভাবে হল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রেলকর্মী ইংলিশবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৪৯ (এ) কোয়ার্টারে থাকতেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের আওতায় ওয়ার্কস বিভাগের কর্মী ছিলেন ওই ব্যক্তি। মৃতের আদি নিবাস উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার বৈরামপুর এলাকায়। স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের তিনি দেশের বাড়ি, উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তথা ইংলিশবাজার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, সম্ভবত এটি খুনের ঘটনা। পুলিস দ্রুত এই রহস্যমৃত্যুর সমাধান করবে বলে আমি আশাবাদী। সোমবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ, সকালেও তাঁর প্রতিবেশীরা ওই ব্যক্তির ভেজা গামছা ও অন্যান্য বস্ত্র বাইরে শুকতে দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আচমকাই তাঁদের নজরে আসে, কোয়ার্টারের ভিতরে অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই প্রৌঢ়। তাঁরাই খবর দেন পুলিসে। পুলিস এসে দেখে দরজা বন্ধ। ভিতরে গিয়ে রক্তাক্ত ও কার্যত নগ্ন অবস্থায় ওই ব্যক্তির দেহ পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস।
এদিকে হনুমন্ত রাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে উত্তরপ্রদেশ থেকে মালদহে এসে পৌঁছেছেন মৃতের স্ত্রী ঊষা রাই, ছেলে নীতিশ ও কন্যা প্রিয়াঙ্কা। কখনও সখনও তাঁরা মালদহে থাকলেও প্রায়ই একা থাকতেন ওই রেলকর্মী। কী করে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে তাঁরা ধন্দে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি অবসর নেওয়ার পরে নভেম্বর মাসের ৫ তারিখে উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার কথা ছিল ওই ব্যক্তির। ফারাক্কা এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিটও কাটা ছিল তাঁর। কিন্তু কী করে এই ঘটনা ঘটল তা কেউই বুঝতে পারছেন না। এলাকায় অন্তত ২০ বছর কোনও খুন জখম হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জেলা পুলিসের পাশাপাশি রেল পুলিসের একটি দলও ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, একসময় রেলের একটি ইউনিয়নের দাপুটে নেতা ছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রয়োজনে তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন কেউ কেউ। অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর পিছনে ওই সব বিষয়ের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিস আধিকারিকরা। পুলিস কর্তাদের বক্তব্য, কীভাবে ওই রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে আদৌ খুন করা হয়েছে কি না, এসব প্রশ্নের জবাব এখনও মেলেনি। তদন্ত চলছে। ফাইল চিত্র